Tuesday, December 30, 2014

ক্লাসরুম ছোট বলে মনে নেই জ্বালা, দুনিয়াটা আমাদের বড় পাঠশালা...

রাঙাবেল: রুবেলের পাঠশালা: সার-সংক্ষেপ: বন্ধু গো, আজি তোমায়, বড়ো বেশী প্রয়োজন… মাসে মাত্র হাজার ২০ টাকার যোগান দেওয়া গেলেই প্রান্তিক শিশুদের আলোর ইস্কুলটি...

Friday, December 5, 2014

​কচ্ছপ::ভালোবাসায় বাঁচবে ওরা

‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী।’ প্রাচীন এই প্রবাদে আভাস মেলে হরিণের মতো নিরীহ-সুন্দর বন্য প্রাণী কতটা বিপন্ন। আর সুস্বাদু মাংসের লোভে অতিনিধনে দুনিয়া থেকেই হা
​​
রাতে বসেছে বেশ কয়েক প্রজাতির কচ্ছপ। নদ-নদী আর জলাশয়ের অস্তিত্ব সংকটে সারা দেশেই আজ বিলুপ্তির পথে কয়েক প্রজাতির কচ্ছপ। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে কোনোক্রমে টিকে থাকা ‘সাদা কাটা’ বা ‘কালো কাটা’ কচ্ছপ আবার সারা বিশ্বেই মহা বিপন্ন প্রাণী। এটির ইংরেজি নাম ‘রিভার টেরাপিন’। আর বৈজ্ঞানিক নাম ‘বাটাগুর বাস্কা’। বাংলাদেশে অঞ্চল ভেদে এটি বিভিন্ন নামে পরিচিত।

Thursday, December 4, 2014

​অদম্য:: প্রতিবন্ধিতা জয় করে চলেছেন আকবর

‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আমাকে দমাতে পারেনি। স্কুল-কলেজে পড়তে পারিনি ঠিকই, তবে বাসায় একা একাই পড়েছি। আর শিখেছি কম্পিউটারে জটিল সব গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ। এই কাজে এখন আমি যথেষ্ট পারদর্শী। আরো দক্ষতা অর্জনে নিজেকে তৈরি করছি। ঘরে বসেই অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়ও করছি। ইউরোপের বাজারে আমার পণ্য তীব্র প্রতিযোগিতা করে বিক্রি হচ্ছে। এভাবেই প্রতিবন্ধকতার সব বাধা একদিন আমি পেরিয়ে যেতে চাই। জয় করতে চাই পাহাড়সম বাধা।’
হুইল চেয়ারে বসে ল্যাপটপে জরুরি কাজ করার ফাঁকে কথাগুলো বলছিলেন আকবর হোসেন (২৯)। ঢাকার হাতিরপুলে সেন্ট্রাল রোডের বাসায় কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই গ্রাফিক্স ডিজাইনার শোনান তাঁর সাফল্যের নেপথ্যের দীর্ঘ সংগ্রামের কথা। 

Monday, November 10, 2014

সংশপ্তকের জন্য বিপ্লব রহমানের সাক্ষাৎকার

মুখোমুখি: প্রখ্যাত সাংবাদিক বিপ্লব রহমান

সংশপ্তক: বিপ্লব আপনি মুক্তিযুদ্ধের লগ্নে জন্ম নেওয়া প্রজন্মের একজন। সেই হিসেবে আপনার জীবন ও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস; এই দুয়ের মধ্যে সমান্তরাল সম্পর্ক সূত্রটি ঠিক কি বলে মনে হয় আপনার?

বিপ্লব রহমান: আপনি ঠিকই বলেছেন, একদম অগ্নিগর্ভ মুক্তিযুদ্ধের কালে আমার জন্ম। ওই সময়ে আমরা যারা জন্মেছি, তারা নিজেদের প্রজন্ম '৭১ বলে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আপনি জেনে খুশী হবেন, মুক্তির লড়াইয়ের কালে জন্ম নেওয়া সে সময় শত সহস্র সদ্যজাত শিশুর নাম রাখা হয়েছিল "বিপ্লব", "মুক্তি", "নিশান", "সবুজ", "আজাদ", "শিখা", "আগুন" ইত্যাদি। এইসব নামে আমাদের পূর্বসূরিরা স্বাধীনতার স্বপ্ন গেথেঁ দিয়েছেন। আর আমরা সেই চেতনার রক্তবীজ ধারণ করেই বেড়ে উঠেছি।

Monday, November 3, 2014

রোয়াংছড়িতে বিপন্ন পাহাড়ি জনপদ


পার্বত্য জেলা বান্দরবানের রোয়াংছড়ির ক্রাইক্ষংপাড়া নামক মারমা জনগোষ্ঠি অধু্যষিত এলাকায় বিজিবি'র (বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের) ক্যাম্প নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিস্তৃর্ণ পাহাড়ি জনপদ উচ্ছেদ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এমন খবর আমরা ঢাকার সাংবাদিকরা আগেভাগেই কিছু টুকরো খবরে জেনেছি। সরেজমিনে খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য এক সকালে দুই মাইক্রোবাস ভর্তি বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টিভি মিডিয়ার সাংবাদিকরা  রওনা দেই ঘটনাস্থলের দিকে।

Saturday, October 18, 2014

জীবনযুদ্ধ:: তবু স্বপ্ন দেখে সর্ব-স্বজনহারা ফারজানা


‘এক আগুনে আম্মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের ৯ জনকে হারাইছি। আছিল শুধু আব্বা। সেও গত মাসে রোড অ্যাকসিডেন্টে মরছে। এখন পরিবারে একমাত্র আমিই বাঁইচা আছি। আগুনে আমার পিঠ, দুই হাত, মুখ পুড়ছে। ডান হাতটা অচল হইয়া গেছে। এখনো সারা শরীলে ফোসকা। চিকিৎসার জন্য ম্যালা টাকা দরকার। আমার হাতটা যদি অপারেশন কইরা ভালো করা যাইত, যদি আবার ইস্কুলে যাইতে পারতাম...!’ অশ্রুসজল চোখে কথাগুলো বলছিল ফারজানা আক্তার (১৫)।

Saturday, October 11, 2014

মোনঘর শিশু সদন:: পাহাড়ে শিক্ষার বাতিঘর

বিপ্লব রহমান, রাঙাপানি (রাঙামাটি) থেকে ফিরে: পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ঘাগড়ার দেবতাছড়ি গ্রামের কিশোরী সুমি তঞ্চঙ্গ্যা। দরিদ্র জুমচাষি মা-বাবার পঞ্চম সন্তান। অভাবের তাড়নায় অন্য ভাইবোনদের লেখাপড়া হয়নি। কিন্তু ব্যতিক্রম সুমি। লেখাপড়ায় তার প্রবল আগ্রহ। অগত্যা মা-বাবা তাকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। কোনো রকমে মেয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডিটুকু পার করাতে পেরেছেন। কিন্তু এরপর? চটপটে পাহাড়ি মেয়েটি কালের কণ্ঠকে বলে, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার লেখাপড়া এখানেই শেষ। এ সময় আমরা শুনতে পাই মোনঘর শিশু সদনের কথা। সেখানে নাকি নামমাত্র বেতনে খুব ভালো লেখাপড়া হয়। এরপর আমি এই আবাসিক স্কুলে এসে ভর্তি হই। এখন এখানে আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছি। মোনঘরের হাত ধরে আমি আরো অনেক দূর এগোতে চাই।’ 

Friday, October 3, 2014

আমার বন্ধু কালায়ন চাকমা

প্রথম যৌবন বেলায় রাঙামাটির নান্যাচরের মাওরুম গ্রামে গিয়েছি সমীরণ চাকমার বিয়েতে। সমীরণ দা পরে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন। সেই গ্রুপ ছেড়েছেন অনেকদিন আগে, কিছুদিন আগে মারা গেছেন তিনি।

এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা’র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম।

Saturday, September 27, 2014

জড়ো জীবন~


মোরে সান্তাল বানাইছে ভগমান গো
মোরে মানুষ বানায়নি ভগমান...
গত জুনে গিয়েছিলাম রংপুর-দিনাজপুর। দুটি আদিবাসী সান্তাল গ্রামে মানবাধিকার লংঘনের সরেজমিন সংবাদ করতে। রংপুরে আকাশমনিতে বন সৃজন করবে বলে বন বিভাগ উচ্ছেদ নোটিশ দিয়েছে ভূমিহীন শত সান্তাল পরিবারকে। আর দিনাজপুরে ভূমি দখল করতে সন্ত্রাসীরা দিনে-দুপুরে চারজন সান্তাল কৃষককে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে। ...

Saturday, September 13, 2014

আমলাতন্ত্রের জালে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন


আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব। দেখতে চাই আর কত হয়রানির পর আমার গাড়িটি চট্টগ্রাম শুল্ক বিভাগ থেকে ছাড়া পায়। সরকারি কর্মকর্তারা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে নিজ দেশে আর কত হেনস্তা করতে পারেন। আমার বিশ্বজয়ের স্বপ্ন এভাবে আমলাতন্ত্রের কাছে পরাজিত হতে পারে না।

কথাগুলো বলছিলেন গাড়ি চালিয়ে বিশ্বভ্রমণে বের হওয়া কানাডার নাগরিক, একাত্তরের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার সালাউদ্দীন (৬০)। 

Monday, September 1, 2014

আমি বিচিত্রা তির্কি বলছি…


আপনারা আমার নাম ছেপে দিন, আমার ছবি প্রকাশ করুন। গণধর্ষিত বলে আমি এসবে ভয় পাই না। আমার সঙ্গে তাবত্ উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ আদিবাসী ভাই-বোন আছে। আমার স্বামী, ছেলেমেয়ে, পরিবার-পরিজন -- সবাই আমার সঙ্গে আছে। লোকলজ্জার ভয়ে আমি নাম-পরিচয় গোপন করলে আসামীরা সকলেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে। ওরা সরকারি দল আওয়ামী লীগ করে। সকলেই চলে যাবে পর্দার আড়ালে।...

Sunday, August 24, 2014

বড় পাপ হে!


একক বা গণধর্ষন এখন ভূমি দস্যুদের আদিবাসী নিপীড়নের হাতিয়ার। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে, মারপিট করে, খুন ও ধর্ষন সন্ত্রাস ছড়িয়ে একের পর এক আদিবাসী জনপদ উজাড় করা হচ্ছে। পাহাড় বা সমতলে সর্বত্র এখন ভয়াবহ আকার নিয়েছে নিপীড়নের এই দানব। মধুপুরের স্মৃতি রিছিল থেকে খাগড়াছড়ির সাবিতা চাকমা। গিদিতা রেমা থেকে সুজাতা চাকমা। ...১৮ বছর আগে পোষাক ধারী সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে গেল বাঘাইছড়ির নারী নেত্রী কল্পনা চাকমাকে। আর সেদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরেক উঁরাও নেত্রী দিনে-দুপুরে ধান ক্ষেতের ভেতর হলেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার।

ম্রো নারীর জীবিকার লড়াইয়ে তাঁত

বিপ্লব রহমান, থানচি (বান্দরবান) থেকে ফিরে:
পাহাড়ের ‘ম্রো’ জনগোষ্ঠীর মেয়েরা জুমচাষের পাশাপাশি এই প্রথমবারের মতো বেছে নিয়েছেন ঐহিত্যবাহী তাঁতশিল্পকে। দুর্গম পাহাড়ে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় জুমচাষের জমির সঙ্গে দিন দিন কমে আসছে ফসলের পরিমাণও। তাই বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে তাঁতশিল্পকে বেছে নেওয়ায় এখন ম্রোদের সংসারে এসেছে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য।

Saturday, August 9, 2014

চিম্বুকে কঠিন ম্রো জীবন

বিপ্লব রহমান, বান্দরবান থেকে ফিরে
চিম্বুকের পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমি অধিগ্রহণের ফলে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় ৭৫০টি ম্রো পরিবার হারিয়েছে অরণ্যঘেরা স্বাধীন জনপদ। ছবির মতো অনিন্দ্যসুন্দর পাহাড়ি গ্রাম, জুম চাষের (পাহাড়ের ঢালে বিশেষ চাষাবাদ) জমি, ঐতিহ্যবাহী শিকার- সব কিছুই আজ অতীত। হতদরিদ্র ম্রোরা সেই থেকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে বাস করছে চিম্বুক প্রধান সড়কের পাশে। এদেরই একাংশ ‘ক্রামাদি পাড়া’ নামক নতুন একটি বসতি গড়ে তুলেছে। কিন্তু জুম চাষের জমি কমে আসায় জীবন হয়েছে আরো কঠিন। কেউ বা পেশা বদল করে পরিণত হয়েছে দিনমজুরে। এত কিছুর পরও হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য নাচ-গানের সংস্কৃতি ধরে রাখারও চলছে প্রাণান্তকর চেষ্টা।

Tuesday, July 22, 2014

‌'How many times will displace?’

BIPLOB RAHMAN
Translated by Pavel Partha

In 1960 for the establishment of Kaptai hydroelectric dam we placed first from our ancestral land after in 1989 displaced by army. And now newly established BGB (Border Guard Bangladesh) camp is evicting us in the third round. What is our fault? And how many times we have to be evicted? ‘Said elderly Indigenous Chakma woman Ananda Bala Chakma with cry, displaced from her village for new BGB camp. 

Wednesday, July 2, 2014

'আর কতবার উচ্ছেদ হব?'

বিপ্লব রহমান, বাবুছড়া (দীঘিনালা) থেকে ফিরে
'১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধ আর ১৯৮৯ সালে শান্তিবাহিনী-সেনাবাহিনীর সশস্ত্র যুদ্ধের কারণে দুই দফা ছাড়তে হয়েছিল ভিটামাটি। আর এখন বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) ছাউনি করবে বলে তৃতীয় দফা আমাদের উচ্ছেদ করা হলো। আমাদের কি অপরাধ? আর কতবার উচ্ছেদ হব আমরা?' ভাঙা বাংলায় কথাগুলো বলতে বলতে গামছা দিয়ে চোখ মুছছিলেন বয়োবৃদ্ধ পাহাড়ি নারী আনন্দ বালা চাকমা।

Thursday, May 29, 2014

রাঙাবেল: ই-বুক:: রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে...

রাঙাবেল: ই-বুক:: রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে...: রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে লেখক: বিপ্লব রহমান প্রচ্ছদ: আহমেদ অরূপ কামাল দাম: ৮০ টাকা প্রকাশক: পাঠসুত্র পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৫০

Thursday, May 8, 2014

রবীন্দ্রনাথ গায়েব শাহজাদপুরে


বিপ্লব রহমান ও আতাউর রহমান পিন্টু, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে ফিরে:সরকারি নথিপত্র থেকে বেমালুম গায়েব কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশাল পৈতৃক জমিদারি শাহজাদপুর তথা শাহজাদপুর ডিহি। একই সঙ্গে পুরোপুরি বেহাত হয়ে গেছে জমিদারির সম্পত্তি। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেল, ঠাকুর পরিবারের নামে এখন শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারিবাড়িটুকুই শুধু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের রেকর্ডভুক্ত। বাকি জমির অধিকাংশই নানা ব্যক্তির কবজায় চলে গেছে। জমির মালিকানা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও রয়েছে বিস্তর।

Monday, April 21, 2014

টিনটিন অপহরণ ও "সাজানো নাটক" শোরগোল

০১. পাহাড়ের সংগীত শিল্পী সৌরভ চাকমা টিনটিন ও তার বন্ধু রিকি চাকমা অপহরণকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি আদিবাসী বন্ধুদের কোনো কোনো মহল একে "সাজানো নাটক" বলে চিহ্নিত করতে এখন খুবই তৎপর। এ নিয়ে ফেসবুক, ব্লগ ও টুইটুারে মহলটি জোর শোরগোল তুলেছে। 

এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে, সিএইচটি টোয়েন্টিফোর ডটকম- নামে আধুনা গজিয়ে ওঠা একটি নিউজ পোর্টাল ।
[http://www.cht24.com/19/04/2014/8128#.U1O4dyfIbFw]


Monday, March 31, 2014

পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ~


আনুমানিক ২৫ হাজার পাহাড়ি-বাঙালির রক্তের বিনিময়ে সাক্ষরিত শান্তিচুক্তিতেও কী শান্তি হয়েছে পাহাড়ে? তাহলে ক্রেওক্রাডং-এর দুর্গম পাহাড়ে কেন এখনো নিরব দুর্ভিক্ষের হাহাকার? শান্তিচুক্তির পরেও কেন সেখানে সেনা বাহিনী ‘অপারেশন দাবানলের’ পর চালাচ্ছে ‘অপারেশন উত্তোরণ’? তাহলে কি অস্ত্রের ঝনঝনানি থামেনি? পাহাড়ে অভিবাসিত বাঙালি সেটেলাররা কি দৃষ্টিতে দেখেন সাধারণ পাহাড়িদের? এই বৈরি সর্ম্পকের শেকড় কোথায়? কোথায় আজ কল্পনা চাকমা? শান্তিচুক্তির পক্ষে-বিপক্ষে ‘সন্তুস’, ‘গন্ডুস’ ও ‘ফাল্তুস’ নামের পাহাড়িদের সশস্ত্র সংঘাতেরই বা শেষ কোথায়? কেনোই বা অধরা বহুল কাঙ্খিত শান্তি?

প্রায় দুই দশকের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এইসব নানান বিষয়ে ২০০৯ সালের লিখেছিলাম ছোট্ট একটি বই- রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে

Friday, February 21, 2014

আদিবাসী শিশু পড়বে নিজ ভাষাতেই

একুশের সংবাদ: আদিবাসী শিশু পড়বে নিজ ভাষাতেই
by Biplob Rahaman for AlalODulal.org  

কিছুদিন আগে বিশিষ্ট আদিবাসী গবেষক, চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে আলাপ-চারিতা হচ্ছিল আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার বিষয়ে। তিনি জানালেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সমতলের চেয়ে পাহাড়ে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার অনেক বেশী। এর একটি প্রধান কারণ, শিশু শিক্ষায় ভাষাগত বাধা। তবে এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি জরিপ চালানো হয়নি বলে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন।

Monday, February 17, 2014

একুশের সংবাদ: মুনীর অপটিমা থেকে অভ্র


শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ১৯৬৫ সালে উদ্ভাবন করেন ‘মুনীর অপটিমা’ টাইপরাইটার। ছাপাখানার বাইরে সেই প্রথম প্রযুক্তির সূত্রে বাংলা পেল নতুন গতি। স্বাধীনতার পর ইলেকট্রনিক টাইপরাইটারেও যুক্ত হয় বাংলা। পরে আটের দশকে ‘বিজয়’ সফটওয়্যার ব্যবহার করে সম্ভব হয় কম্পিউটারেই বাংলা লেখা। আর ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ মুক্ত সফটওয়্যার ‘অভ্র’ উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এক নবযাত্রা।

আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন বা ইউনিকোডে বাংলা বর্ণলিপি যুক্ত হওয়ায় ‘অভ্র’ ফন্টে সম্ভব হয় ইন্টারনেটে বাংলায় লেখালেখিসহ বাংলায় ওয়েবসাইট নির্মাণ। একই সঙ্গে অফলাইনে বাংলার প্রসার বাড়ে এই সফটওয়্যারে। কম্পিউটারে বাংলা লেখার সুযোগ সৃষ্টি মুদ্রনশিল্পেও এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন।

‘অভ্র’ উদ্ভাবন করেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান খান। মেহেদী, রিফাতুন্নবি, তানভিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা, নিপুণ হক- এই কয়েক বন্ধু সেই থেকে ‘অভ্র’র উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’- এই স্লোগানে ‘অভ্র’র সম্মুখযাত্রা শুরু। এর সমস্ত সংস্করণ ওয়েবসাইট [omicronlab.com] থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীর সুযোগ রয়েছে অভ্র, প্রভাত বা ফনেটিক কি-বোর্ড বাছাই করার। এমনকি যিনি কম্পিউটারে বাংলা লিখতে অভ্যস্ত নন, তিনিও অন্তত কিছু বাক্য ‘অভ্র’তে লিখতে পারবেন ডিজিটাল কি-বোর্ড থেকে মাউস দিয়ে।

Saturday, February 15, 2014

একুশের সংবাদ: ক্ষুদ্রজাতির ভাষায় বিশ্বকোষ


বাঙালি ছাড়াও এ দেশে বংশপরম্পরায় বসবাস করছে প্রায় ৭০টি ক্ষুদ্রজাতির প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও ঐতিহ্য। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে তারাও সমান অংশীদার। একুশের গৌরবের পথচলায় বাংলা ভাষা ছাড়াও ক্ষুদ্রজাতির নিজস্ব ভাষাতেই হচ্ছে লেখাপড়া, সাহিত্য নির্মাণ, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চা। আর এখন ইন্টারনেটভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া [wikipedia.org], সংক্ষেপে উইকিতে যোগ হয়েছে ক্ষুদ্রজাতির ভাষা। সমগ্র উইকিপিডিয়ার মোট ২৮৫টি ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার পাশাপাশি স্থান করে নিয়েছে এ দেশের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, সাঁওতালি ও চাকমা ভাষা। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে সাঁওতালি ও চাকমা ভাষার উইকিপিডিয়া নির্মাণ উদ্যোগ।

নির্মাতাদের সূত্রে জানা গেছে, উইকিপিডিয়া হলো জনমানুষের হাতে তৈরি সাধারণের জন্য লেখা বিশ্বকোষ। বাংলাদেশের ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা ছাড়া কেবল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ উইকি। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি উইকি নির্মাণ শুরু হয় ২০০৬ সালে। পরের তিন বছর পর্যন্ত এর অগ্রগতি ছিল অনেকটাই সাবলীল। কাজটি একাই অনেকটা এগিয়ে নেন নিউ ইয়র্কপ্রবাসী উত্তম সিংহ। তবে স্বেচ্ছাশ্রমে সমষ্টিগত অবদানকারীর অভাবে ২০০৯ সাল থেকে ধীর হয়ে পড়ে এর কার্যক্রম।

Friday, February 14, 2014

একুশের সংবাদ: আলো ছড়াচ্ছে ভাষা শিক্ষার নিকেতন



ভাষার ওপর নিবিড় শিক্ষা ও উচ্চতর গবেষণায় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষানিকেতন বিগত চার দশকে পরিণত হয়েছে বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে। নিয়মিত গবেষণাপত্র প্রকাশ, আলোচনা সভা ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন, সুবিশাল পাঠাগার, ছাত্রবৃত্তি প্রদানের মতো অর্জনও কম নয় প্রতিষ্ঠানটির।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলা ছাড়াও রয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, জাপানি, চীনা, আরবি, কোরিয়ান, ইতালিয়ান, ফারসি, রুশ, স্প্যানিশ ও টার্কিশ ভাষা শিক্ষার বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এখানে একেকটি কর্মসূচিতে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিরা দূতাবাস, জাতিসংঘ মিশন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পেশায় রাখছেন মেধার স্বাক্ষর। তবে ইনস্টিটিউটের বাংলা ভাষা শিক্ষার কর্মসূচিটি কেবলই বিদেশিদের জন্য। অন্যসব কর্মসূচি অবশ্য সবার জন্যই উন্মুক্ত। ইনস্টিটিউটটি পরিচালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।


১৩টি ভাষার যেকোনোটির ওপর প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ। ভাষার ওপর উচ্চতর গবেষণার (এমফিল, পিএইচডি) সুযোগও রয়েছে এখানে। এ জন্য যে সনদটি দেওয়া হয় সেটিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্বমানের এসব সনদ বহু বছর ধরে সমাদৃত হচ্ছে সর্বত্র। বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার সনদটি ব্রিটিশ কাউন্সিল সমমানের। 

Thursday, February 13, 2014

একুশের সংবাদ: শুরু হচ্ছে দেশের সব ক্ষুদ্রজাতির ভাষার সমীক্ষা



দেশের সব ক্ষুদ্রজাতির ভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশে প্রথমবারের মতো সমীক্ষা করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এরই মধ্যে গ্রহণ করেছে বছরব্যাপী এক কর্মসূচি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ভাষা ও নৃবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এবং চৌকস একটি কর্মীবাহিনী আগামী মার্চ থেকে শুরু করবে মাঠপর্যায়ের সমীক্ষার কাজ। ক্ষুদ্রজাতির প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকছেন এ উদ্যোগে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশে নৃভাষার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ নামক পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি চলবে ক্ষুদ্রজাতি অধ্যুষিত দেশের ২০টি অঞ্চলে। এরপর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা, ম্রো, লুসাই, বম, রাখাইন, গারো, হাজং, সাঁওতাল, ওঁরাও, মুণ্ডা, খাসিয়া, মণিপুরিসহ প্রায় ৭০টি ক্ষুদ্রজাতির প্রায় ২৫ লাখ মানুষের নিজস্ব ভাষা, উচ্চারণ, বর্ণমালা, ভাষার বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে চলবে গবেষণা। পরে মাঠ পর্যায়ের সব তথ্য ও শ্রুতি সংরক্ষণ করা হবে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের নিজস্ব তথ্য ব্যাংকে। ভাষাগত সংখ্যালঘুর এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশ করা হবে বিশদ গ্রন্থ। এসব গ্রন্থ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে ওয়েবসাইটেও।

সরকারি অর্থায়নে পুরো সমীক্ষায় ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। পরে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে চলবে নিবিড় গবেষণা। বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়ে পরবর্তী সময়ে বড় মাপে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ ভাষাভিত্তিক সমীক্ষা হবে। 

Tuesday, February 11, 2014

একুশের সংবাদ: নিউজ পোর্টালের গর্বিত পথচলা



আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন বা ইউনিকোডে বাংলা ভাষার লিপি যুক্ত হয়েছে বছর আটেক আগে। মুক্ত ইউনিকোড বাংলা ফন্ট অভ্র’র হাত ধরে এরপর অনলাইনে বাংলা ভাষার শুধুই এগিয়ে চলা। এ ভাষাতেই এখন তৈরি হচ্ছে জনমুখী নানা ওয়েবসাইট। বাংলাতেই গড়ে উঠেছে ইন্টারনেটভিত্তিক অসংখ্য সংবাদমাধ্যম বা নিউজ পোর্টাল। অভ্র ছাড়াও ইউনিকোডে যুক্ত হয়েছে আরো অনেক বাংলা ফন্ট। সাইবার বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মহান একুশের অর্জন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বাংলায় নিউজ পোর্টাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওপার বাংলার তুলনায় বাংলাদেশ বহুগুণে এগিয়ে গেছে। গত কয়েক বছরে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগের দাম কমে আসায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কালের কণ্ঠসহ দেশের প্রধান সারির বাংলা সংবাদপত্রগুলোও বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে প্রচার করছে তাৎক্ষণিক সংবাদ ও ছবি। থাকছে ভিডিওচিত্রও। প্রতি মুহূর্তের সংবাদ ও বিনোদনের জন্য খবরপিপাসু সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীরা টেলিভিশন ছাড়াও এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন অনলাইন সংবাদকে।

পরিষেবামূলক বিভিন্ন ধরনের পোর্টালও বাংলা ভাষায় তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশেই। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, জ্বালানি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ের পোর্টাল বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারবিষয়ক জরিপ সংস্থা আলেক্সার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় নিউজ পোর্টাল চার হাজারের বেশি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিউজ পোর্টালের সংখ্যা শতাধিক। এসব ওয়েবসাইটের নিবিড় পাঠক (ইউনিক ভিউয়ার) সংখ্যা এরই মধ্যে ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

Sunday, February 9, 2014

একুশের সংবাদ: ক্ষুদ্রজাতি পড়বে নিজ ভাষাতেই



একুশের গৌরবের পথচলায় বাংলার পাশাপাশি ক্ষুদ্রজাতির মাতৃভাষাও হয়েছে সমুন্নত। কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির প্রধান ভাষায় লিখিত চর্চা বহু বছর ধরে চলছে বেসরকারি উদ্যোগে। শুধু তা-ই নয়, পাহাড় ও সমতলে বেসরকারি উদ্যোগে চলছে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির নিজ নিজ ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এবারই প্রথম খোদ সরকারই এগিয়ে এসেছে এই মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে।

দেশের প্রায় ৭০টি ক্ষুদ্রজাতির প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হাজার বছর ধরে বংশপরম্পরায় ব্যবহার করছেন নিজস্ব মাতৃভাষা। পাশাপাশি বাঙালির সঙ্গে ভাব বিনিময়ে তাঁরা ব্যবহার করেন বাংলা। প্রতিটি ক্ষুদ্রজাতির রয়েছে নিজস্ব প্রাচীন ভাষা, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তবে কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই। এ জন্য তাঁরা রোমান ও বাংলা হরফ ব্যবহার করেন। আবার চর্চার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক ক্ষুদ্রজাতির ভাষা।

এ অবস্থায় প্রধান কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায়, তাদের নিজস্ব ভাষায় পাঠদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভাষাগুলো হচ্ছে, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো ও সাদ্রি। এর মধ্যে সাদ্রি ব্যবহার করেন উত্তরবঙ্গে বসবাসকারী ওঁরাও, মুণ্ডা, মালো, মাহাতো, রাজোয়ার, তেলি, বাগদি, লহরা, কর্মকারসহ ১৫টি ক্ষুদ্রজাতি। পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তত দুই দশক ধরে বেসরকারি উদ্যোগে চলছে নিজস্ব বর্ণমালায় চাকমা ও মারমা ভাষার প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাতৃভাষায় পাঠ দেন সংশ্লিষ্ট ভাষার শিক্ষক। আর পাঠ্যবইও লেখা হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে। কয়েকটি উন্নয়ন সংস্থাও এই উদ্যোগের সঙ্গে আছে।

Friday, February 7, 2014

একুশের সংবাদ: জেলা তথ্য বাতায়নে দখিনা হাওয়া


কোনো জেলা সম্পর্কে সাধারণ তথ্য পাওয়া একটি কঠিন কাজ। সরকারি পর্যায়েও আছে বেড়াজাল। ছোট কোনো তথ্যের জন্যও ধরনা দিতে হবে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে। আবার লাইব্রেরিতে গিয়ে পুস্তক-সাময়িকী ঘাঁটাঘাঁটিতে অনেক ঝক্কি। উপরন্তু বাজারের বইপত্রের তথ্য কতখানি নির্ভরযোগ্য, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। তবে এই অচলায়তনে দখিনা হাওয়া হয়ে আসে ওয়েবসাইট। ‘বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ www.bdgovportal.com বিভিন্ন জেলার ছোট-বড় নানা তথ্য নিয়ে ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। ইন্টারনেটের সহায়তায় সাইটে ঢুকলেই সব তথ্য চলে আসে হাতের নাগালে।

একুশের গৌরবের পথচলায় সরকারি উদ্যোগে উন্মুক্ত হয়েছে তথ্যের এই খিড়কি দুয়ার। খোদ বাংলাদেশ সরকার এসব তথ্যের জোগানদাতা বলে গবেষণা ও লেখাপড়ায় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায় এই ওয়েবসাইটের তথ্যসূত্র। কম দামি স্মার্টফোন থেকেও এই সাইটটি ব্রাউজ করা যায়।


জানা যায়, বছর সাতেক আগে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় নেওয়া হয় ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ বা এটুআই প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় ২০০৬-২০১১ সালে। এটুআই প্রকল্পে বাংলা বর্ণ সংকেতায়ন বা বাংলা হরফে ইউনিকোডে নির্মাণ করা হয় bdgovportal.com। নির্মাণে অনেক ত্রুটি থাকলেও সাইটটি অনেকের জন্যই অতি প্রয়োজনীয়। নেভিগেশন কি বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কাক্সিক্ষত বিভাগ, মন্ত্রণালয় ও জেলা তথ্য বাতায়ন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া সম্ভব। একেকটি বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভাগ। এ কারণে সমন্বিত এই উদ্যোগটি অনেক সুশৃঙ্খল। আবার কাক্সিক্ষত জেলার নাম ইংরেজিতে লিখে তার পাশে ডটগভ ডটবিডি লিখলেই ব্যবহারকারী সরাসরি প্রবেশ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য বাতায়নে [যেমন, dhaka.gov.bd।

Thursday, February 6, 2014

একুশের সংবাদ: আমাদের বিশ্বকোষ


শিক্ষা-দীক্ষা বা গবেষণায় মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। অমর একুশের গৌরবের অগ্রযাত্রায় এখন হাতের নাগালে ইন্টারনেটভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া [http://bn.wikipedia.org/, সংক্ষেপে বাংলা উইকি। বছর কয়েক আগেও যেখানে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রয়োজনীয় বিষয়ে জ্ঞানচর্চার জন্য কিনতে হতো বিদেশি ভাষার দামি বিশ্বকোষ অথবা ধরনা দিতে হতো বিভিন্ন লাইব্রেরিতে, এখন সেখানে যে কেউ কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের বোতাম টিপেই বিনা মূল্যে পেতে পারেন নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ছবি। প্রয়োজনমতো তথ্য ও ছবি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ এবং প্রিন্ট আউটও নেওয়া যায়। কিছুদিন আগে বাংলা উইকির মোবাইল ভার্সন [http://bn.wikipedia.org/] চালু হওয়ায় কমদামি মোবাইল ফোনেও এটি এখন সহজলভ্য। 

বলা ভালো, উইকির মতো বাংলা উইকিও পরিচালিত হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে। সাইটটি সমৃদ্ধ করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী অসংখ্য উইকিপিডিয়ান। এরই মধ্যে বাংলা উইকি পূর্ণ করতে চলেছে অর্জনের এক দশক। সমগ্র উইকিপিডিয়ায় যুক্ত হওয়া বিশ্বের ২৮৫টি ভাষার মধ্যে এভাবেই বাংলার এখন দাপুটে পদচারণ।

Wednesday, February 5, 2014

একুশের সংবাদ: ই-বুকে স্বচ্ছন্দ পথচলা



ছাপাখানা আবিষ্কার হয়েছিল ৬০০ বছর আগে। সেই থেকে বইয়ের দাপুটে পথচলা। এরই ধারাবাহিকতায় বইয়ের জগতে বড় বিপ্লবটি ঘটিয়েছে ইলেকট্রনিক-বই বা ই-বুক। তবে তা গতানুগতিক মলাট বাঁধাই নয়। অনলাইনে পাঠক তার কাক্সিক্ষত বইটি সহজেই পড়ে নিতে পারে কম্পিউটারের পর্দায় চোখ রেখে। ডাউনলোড করে প্রিন্টও নিতে পারে। এ জন্য দোকানে গিয়ে বই কেনার বা গ্রন্থাগারে গিয়ে বই ধার করার ঝক্কি-ঝামেলা নেই। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় কম্পিউটারে ই-বুক পড়া যেমন যায়, তেমনি ই-বুক পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা ই-বুক রিডার। গত কয়েক বছরে স্মার্ট ফোন থেকেও সহজলভ্য হয়েছে ই-বুক পাঠ। মোবাইল ফোনেই আজকাল কয়েক হাজার ই-বুক রাখা যায়।

বছর দশেক ধরে অন্যান্য ভাষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলা ভাষাতেও তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ই-বুক। বিনা মূল্যে ই-বুক পাঠের সুবিধার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সাইটে বাংলা ভাষার ই-বুক অনলাইনে বিক্রিও হচ্ছে। ই-বুকের কল্যাণে ক্রমেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বাংলা ভাষাভাষীর পাঠচর্চা। বাংলা পেয়েছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশ সরকার স্কুল-কলেজের প্রায় সব পাঠ্য বইকে ই-বুক আকারে প্রকাশ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এসব বইপত্র বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। সে সুবাদে শিক্ষার্থীরা আজকাল কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমনকি মোবাইল ফোনেই তাদের পাঠ্য বই পড়তে পারছে। এটা নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী অগ্রগতি।

Monday, February 3, 2014

একুশের সংবাদ: বাংলার গৌরব ব্লগ, ব্লগাজিন ই-ম্যাগে



যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ গণবিস্ফোরণের পর ‘ব্লগ’, ‘ফেসবুক’, মাইক্রো ব্লগ ‘টুইটার’ ইত্যাদি এখন খুব পরিচিত শব্দ। এর মধ্যে ‘ব্লগ’ কথাটিই সবচেয়ে এগিয়ে। মতান্তরে, সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও একটি বড় মাপের ব্লগ। আরব বসন্তের পর প্রজন্ম শাহবাগ আরেকবার বিশ্ববাসীকে জানান দিয়ে গেছে ব্লগের অন্তর্নিহিত শক্তি তথা প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাংলা ব্লগের অমিত সম্ভাবনা। আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন বা ইউনিকোডে বাংলা ভাষা যুক্ত হওয়ার পর এই ভাষায় ওয়েবসাইট নির্মাণের পাশাপাশি এখন দ্রুত ভাষার গৌরব ছড়িয়ে পড়েছে ব্লগ, ব্লগাজিন ও ইলেকট্রনিক-ম্যাগাজিন বা ই-ম্যাগে।

ব্লগ, ব্লগাজিন ও অনলাইনপত্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই যখন তখন মোবাইল ফোন, নোট প্যাড, নোটবুক, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার টিপে এসব ওয়েবসাইটে লেখা পড়া যায়। এ জন্য দোকানে গিয়ে পত্র-পত্রিকা কেনার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি যে কেউই সেখানে লিখে ফেলতে পারে পছন্দসই লেখা। এ জন্য পেশাদার লেখক হওয়ারও প্রয়োজন নেই। প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে এসব মাধ্যমের আরেকটি বড় পার্থক্য হচ্ছে, বিকল্প এই গণযোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কোনো লেখা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় লেখাটির নিচে মন্তব্যের ঘরে। সেখানেও চলে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, প্রশংসা, এমনকি নিন্দাও। আবার একটি লেখার বিতর্ক জন্ম দেয় আরো অনেক চিন্তাশীল লেখারও।

Tuesday, January 28, 2014

কবিগুরুর স্মৃতিধন্য শাহজাদপুর: অধিদপ্তরই বদলে দিল রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি


বিপ্লব রহমান ও আতাউর রহমান পিন্টু, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে ফিরে
‘ভালবেসে সখী নিভৃত যতনে, আমার নামটি লিখ, তোমার মনেরও মন্দিরে...।’ অমর এই গীতসহ শতাধিক অমূল্য রচনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন শাহজাদপুরের কাছারিবাড়িতে বসে, ১৮৯০ থেকে ১৮৯৬- এই সাত সালে। ১৮৯৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর শাহজাদপুর থেকে লেখা এক চিঠিতে বলেন, ‘এখানে যেমন আমার মনে লেখার ভাব ও ইচ্ছা আসে, এমন কোথাও না।’ কবিগুরুর প্রিয় শাহজাদপুরের কাছারিবাড়ির স্মৃতিও এখন সুরক্ষিত নয়।
 

Saturday, January 25, 2014

বাংলা ব্লগের ভাষা ও দিকদর্শনসমূহ

০১। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে গত ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ গণবিস্ফোরণের পর 'ব্লগ', 'ফেসবুক', 'টুইটার', 'পোস্ট', 'ট্যাগ', 'সাইবার ওয়ার' ইত্যাদি এখন খুব পরিচিত শব্দ। এরমধ্যে 'ব্লগ' শব্দটিই প্রধান। অন্যদিকে,  গত মে মাসে ঢাকার মতিঝিলে 'নাস্তিক ব্লগারদের ফাসিঁর দাবিতে জামাত-হেফাজতের মৌলবাদী মহাসমাবেশ বাংলা ব্লগকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপিত করতে চেয়েছে। কিন্তু মোদ্দা কথায়, বাংলা ব্লগের  অমিত শক্তি এখন প্রকাশ্য। এ কারণেই গলা কেটে ব্লগার খুন করার পাশাপাশি ব্লগারদের ওপর মৌলবাদী সশস্ত্র হামলা চলছেই। সমান্তরালে আছে, বাংলা ব্লগের ওপর নানা সরকারি খড়গ।