Thursday, March 25, 2010

বেতারে খুনিরা যা বলেছিল

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কারফিউ জারি করে মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনারা পুরো ঢাকায় যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়, তার আনুষ্ঠানিক নাম ছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহরে বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলনকে চিরতরে বুলেটে স্তব্ধ করে দেওয়ার নীলনকশা।

ঢাকার খিলগাঁওয়ের চৌধুরীপাড়ার বাসায় বসে সেদিন রাত দেড়টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত পাকিস্তানি সেনাদের বেতারবার্তা রেকর্ড করেছিলেন আণবিক শক্তি কেন্দ্রের পদার্থবিজ্ঞানবিদ ড. এম এম হোসাইন। তাঁর রেকর্ডকৃত বেতারবার্তার স্ক্রিপ্টে দেখা যায় পাকিস্তানি সেনাদের বেশ কিছু সামরিক সংকেত ব্যবহার করতে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও পিলখানায় অপারেশনের দায়িত্বে থাকা ইউনিটগুলোর কথোপকথনের ধারাভাষ্য থেকে বাঙালি নিধনের খণ্ডচিত্র ফুটে ওঠে। একই সঙ্গে মূর্ত হয় প্রতিরোধের লড়াইও।

'চোখের সামনেই ওরা গুলি করে বাবা মা ভাই বৌদিকে'


বায়ান্ন, একাত্তর, নব্বইসহ বাংলাদেশের প্রতিটি গণ-আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সদা হাস্যোজ্জ্বল, সবার প্রিয় মধুদাকে (মধুসূদন দে) পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভোরে ছোট ছোট ছেলেমেয়ের সামনে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। একই সঙ্গে তারা গুলি করে হত্যা করে মধুদা'র স্ত্রী যোগমায়া দে, তাঁর বড় ছেলে রঞ্জিত কুমার দে ও পুত্রবধূ রীনা রানী দে'কে। এই চার-চারটি হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী মধুর ক্যান্টিনের বর্তমান পরিচালক ও শহীদ মধুদার ছোট ছেলে অরুণ কুমার দে। দৈনিক কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপচারিতায় সে সময়ের ১০ বছরের শিশু অরুণ জানাচ্ছেন সেই নির্মম অভিজ্ঞতার কথা।

Friday, March 19, 2010

বন্ধ হয়ে গেল ‘কনসার্ট ফর বাঘাইহাট ভিক্টিমস’!


পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ হয়ে গেছে ’কনসার্ট ফর বাঘাইহাট ভিক্টিমস’! রাঙামাটির বাঘাইহাটে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা দেওয়ার জন্য ১৯ মার্চ, শুক্রবার বিকাল ৩টায় জেলার রাজবাড়ি অফিস মাঠে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।

অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা কালায়ন চাকমা সকালে টেলিফোনে আমাকে এই খবরটি দেন। তিনি বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। তারপরেও একেবারে শেষ মুহূর্তে কোন কারণ ব্যাখা না করেই তা বন্ধ করে দেওয়া সত্যিই খুব বিস্ময়কর। এতে আমাদের বিপুল আয়োজন ও পরিশ্রম পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেল।’

Sunday, March 7, 2010

৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি যেভাবে রেডিওতে প্রচার হলো…


১৯৭১ এর মার্চ মাসের সময়টা ছিলো ভয়ঙ্কর। তারপরও সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলোতে পাকিস্তান রেডিওর ঢাকা কেন্দ্রের কয়েক জন দুঃসাহসী কর্মকর্তা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সে ভাষণ সম্প্রচার করেছিলেন।

পাকিস্তানি সামরিক জান্তার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় শেখ মুজিব যে ভাষণ দেন তা সম্প্রচারের জন্য দুঃসাহসী সেসব কর্মকর্তাদের কাছে জাতি চীর কৃতজ্ঞ।

অগ্নিঝরা সেই ভাষণের বিষয়বস্তু পৌঁছে গিয়েছিলো বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে। এ ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির নেতা পাকিস্তান সরকারের সাথে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করেন। এ ভাষণের বাঙালির স্বাধিকারের আকাঙ্খাকে আরও উস্কে দিয়েছিলো। আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো জনগণের মনে।