Monday, August 27, 2012

চলেশ রিছিল: লাল সেলাম

[বাবা পড়ে আছে মর্গে / লালমোহনের মেয়ের মাধ্যমিক /পরীক্ষা দিয়ে শিক্ষিত করগে /'এনকাউন্টার' হলো কী বাস্তবিক?...সুমন কবিরের গান]

পাহাড়ি আদিবাসী নেত্রী কল্পনা চাকমার মতোই চলেশ রিছিল এখন টাঙ্গাইলের মধুপুরের গারো ও কোচ আদিবাসী অধ্যুষিত শালবনের অমিংমাসিত অধ্যায়।

বছর আটেক আগে মধুপুরের শালবন গর্জে উঠেছিলো বন বিভাগের একতরফা ইকো-পার্ক প্রকল্পের বিরুদ্ধে। সে সময় আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিল আদিবাসীদের সংগঠিত করেন ইকো-পার্ক প্রতিরোধ আন্দোলন।

এ জন্য পাঁচ বছর আগে যৌথবাহিনীর ‘এনকাউন্টারে’ জীবন দিতে হয় তাকে। আন্দোলনের সময়ই পুলিশ ও বনরক্ষীদের গুলিতে প্রাণ যায় পিরেন স্নাল নামক আরেক আদিবাসী নেতার। পিরেনের রক্তের বিনিময়ে সে সময় বাতিল হয় ইকো পার্ক প্রকল্প। কিন্তু বাতিল এ প্রকল্পের বন মামলার দায় এখনো বহন করে চলেছেন মৃত চলেশ। এ মামলায় ‘গরহাজির’ থাকায় সম্প্রতি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছেন!


Thursday, August 9, 2012

বন মামলায় সংকুচিত আদিবাসীদের জীবন

বিপ্লব রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে ফিরে
মরেও মুক্তি নেই আদিবাসী নেতা চলেশ রিছিলের। মৃত্যুর পাঁচ বছর পরও তাঁর বিরুদ্ধে এখনো বহাল বন বিভাগের দায়ের করা মামলা! চলেশ রিছিল আট বছর আগে গারো আদিবাসীদের মধুপুর ইকো পার্ক প্রতিরোধ আন্দোলন সংগঠিত করেছিলেন। এ কারণে সে সময় মধুপুর বন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় 'গরহাজির' থাকায় কিছুদিন আগে আদালত তাঁর বিরুদ্ধে সমনও জারি করেছেন।
মধুপুরের শত শত গারো আদিবাসী নারী-পুরুষের রয়েছে একই রকম আরো প্রায় পাঁচ হাজার মামলা। বছরের পর বছর ধরে এসব মামলার দুর্ভোগে এখন তাঁদের নাভিশ্বাস ওঠার উপক্রম।