Wednesday, July 24, 2013

শেকড় সংবাদ।। ঘুরে দাঁড়িয়েছে ২২ টি সাঁওতাল গ্রাম।।

রাজশাহীর গোদাগাড়ি এলাকার ভাষাগত সংখ্যালঘু সাঁওতাল পল্লীগুলোতে কয়েক বছর আগেও নিত্য অভাব লেগেই থাকতো। অভাবের তাড়নায় মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিত ভূমিহীন সাঁওতাল ক্ষেতমজুররা। কিন্তু এখন 'রক্ষাগোলা' তৈরি করে তারা স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুই বেলা পেট ভরে খেতে পারছেন। ছেলেমেয়েরাও লেখাপড়া করতে পারছে। সবাই এখন ঋণের ছোবল থেকে মুক্ত।

কিছুদিন আগে এই লেখক সরেজমিনে গ্রামগুলো পরিদর্শনে গেলে এভাবেই নিজেদের সাফল্যগাথার বর্ণনা দেন দেওপাড়া ইউনিয়নের ডাইংপাড়া গ্রামের প্রধান (মোড়ল) দেবেন বাস্কে (৪৬)।

Thursday, July 18, 2013

জাত্যাভিমানের মুখোচ্ছবি


প্রদীপের নীচে অন্ধকার
কোনো আন্তর্জাতিক উৎসব বা বিদেশী অতিথি দেশে বেড়াতে এলে বাংলাদেশের সরকারগুলো ঘটা করে আদিবাসী [হালে “উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি”] নাচগান পরিবেশন করেন। এর মাধ্যমে সরকার হয়তো বহির্বিশ্বের কাছে এমন ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায় যে, বাংলাদেশ একটি বহুভাষা, বহুজাতি, বহুধর্ম ও বহু সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধশালী দেশ; এদেশে বাংলা ভাষাভাষি বৃহত্তর বাঙালি জাতিগোষ্ঠির বাইরে নিজ নিজ ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যবাহী আরো প্রায় ৭০টি [সরকারি হিসেবে ২৭টি] ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির বসবাস রয়েছে। বাঙালির পাশাপাশি এসব ভিন জাতির অবাঙালিরা নিজ নিজ নাগরিক অধিকার নিয়ে ভালোই আছেন!

কিন্তু আসলে কি তাই? রূঢ় বাস্তবতা বলছে, স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক জান্তা পূর্ব বাংলা, তথা এখনকার বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে যে নিষ্ঠুর অমানবিক শোষণ-নির্যাতন চালিয়েছিলো, একই কায়দায় একই শোষণ-নির্যাতন এখন স্বাধীন দেশের সরকারগুলোই আদিবাসীদের সঙ্গে করছে।

Tuesday, July 16, 2013

উসুয়ে হাওলাদারের দীর্ঘ সংগ্রাম!

রাখাইন আদিবাসী নেতা উসুয়ে হাওলাদার (৮)। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালির কলাপাড়ায়। অগ্রসর চেতনার মানুষটি আজন্ম সংগ্রাম করে আসছেন সব ধরণের শোষণ-নিপীড়ন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে। ১৯৫২ তে লড়েছেন রাষ্ট্রভাষার জন্য, ১৯৭১ এ দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করার জন্য সংগঠিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধ

এখন এই শেষ বয়সে এসেও তার সংগ্রাম শেষ হয়ে যায়নি। এবার তিনি লড়ছেন নিজ স্বাধীন দেশে, নিজ দেশের শাসক-শোষক গোষ্ঠির নিপীড়নের বিরুদ্ধে। ... এ লড়াই নিজ মাতৃভাষা ‘রাখাইন’ রক্ষার। গ্রাম্য জোতদার, আর ভূমি দস্যুদের কবল থেকে আদিবাসীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার।

সম্প্রতি ঢাকার এক অনুষ্ঠানে অমায়িক মানুষটির সঙ্গে আলাপচারিতা হয়। পরে টেলিফোনেও কথা হয় তার সঙ্গে। জানা যায়, সংগ্রামী মানুষটির দেশের জন্য আত্নত্যাগ আর একনিষ্ঠার কথা।

Monday, July 15, 2013

সূর্য তুমি নিভে যাও!



ছয় মাস পরের সম্ভাব্য কাল্পনিক দৃশ্য: জামাতের মুকুটহীন সম্রাট গোলাম আজম “ভি” চিহ্ন দেখিয়ে জেল গেট থেকে বের হলেন। মুখে মৃদু হাসি, নূরানী চেহারা, সফেদ দাড়িতে জেল্লা ছড়ায় চারপাশ। ভোর রাত থেকে “তাওহিদী জনতা” ব্যানারে অপেক্ষমান জামাত-শিবিরের কর্মীরা তাকে দেখামাত্র উল্লাসে ফেটে পড়েন। আকাশ বিদীর্ণ করে শ্লোগান ওঠে –”নারায়ে তাকবির! জেলের তালা ভেঙেছি, গোলাম আজমকে এনেছি!”