Thursday, October 2, 2008

ঈদ, এসএমএস, ইত্যাদি

কাল দুপুর থেকে গভীর রাত,পরে ঈদের ভোর থেকে এই এখনো, মোবাইল ফোন উপচে পড়ে একের পর এক এসএমএস তথা ঈদ মোবারক-বার্তায়। 

বছর দশেক ধরে মোবাইল রিং টোন-এর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে সাইলেন্স মুড সব সময়। প্রায়ই অতি জরুরি কল থেকে যায় নাগালের বাইরে, কখনো ব্যস্ততায়, আবার কথনো অবহেলায়। তো মিসড কলগুলোকে বেছে বেছে আবার জবাবহিদিসহ ব্যাক করা হয় বটে।

কিন্তু কি এক অদ্ভুদ কারণে এসএমএস উপেক্ষা করা যায় না। নগদ ফিরতি জবাব দেয়া চাইই, চাই। ...এমন কি অচেনা কেউ হলেও। হুমম...একে কি বলা যায়? নিছক অক্ষর প্রীতি, না অক্ষরের নেপথ্যের মনছবিতে মুখ ও মুখোশ দেখার চেষ্টা?

না কি এর নেপথ্যে সক্রিয় কোনো নিগুঢ মনোস্তত্ব-বোধ?

তো ঈদ-এসএমএস সাধারণত যেমন হয়ে থাকে, অধিকাংশ তেমনই:

হে মহান সাংবাদিক নামক ভিনগ্রহের প্রাণী! (অগ্রীম ক্ষমা মার্জনা।'দেবতারা কি ভিনগ্রহের প্রানী?'...দানিকেন কথিত রূপকথাটির এক্ষুনি অবসান জরুরি।) এই ঈদের আনন্দ যেন সারা বৎসর জুড়িয়া তোমর ওপর বর্ষিত হয়। কল্পনাতীত সাফল্য যেন তোমার ঝুলি উপচাইয়া পড়ে। আর পরিবার-পরিজন নিয়া তুমি পরম সুখে-শান্তিতে বসবাস করো...
--ইত্যাদি।...

কিছু এসএমএস জ্ঞানবাদী, গতানুগতিক। আবার কিছু খুব বেশী মাত্রায় কাব্যময়, মায়াময়...এর আবেদন এতোটাই বেশী যে...নাহ থাক। এ বিষয়ে এখানেই থামা ভালো; ব্যক্তি ব্লগীয়গণ্ডির বিষয়ে সাম্প্রতিক শরিয়তে নিষেধাজ্ঞা আছে বৈকি!

তার চেয়ে বরং ব্লগরব্লগর প্রসঙ্গে ফেরা যাক।

ঈদ-এসএমএস প্লাবনের মধ্যে একটি বেশ খানিকটা ভাবিত করে; ভোর থেকে শুরু করে নিরন্তর, কোনো এক গোপন কৌশলে, কোনো না কোনো ফাঁকে এসএমএস মহাশয় হুডিনির ভোজবাজী, এমন কি ঘুনপোকার মতো কুট কুট করে কেটে চলেন করটির খোল। আর এতে বলা হয়:

ব্যাগ ভরে টাকা নিয়ে
পকেট ভরে আনবো বাজার
ধরবো মূল্যের এই গতিটা
ঈদটা হবে দারুন মজার।

কারাবন্দী দূর্নীতিবাজ
জামিন পেয়ে সংলাপে আজ
বিচার বিভাগ স্বাধীন বটে
'এসো বাংলাদেশ গড়ি' অকপটে।

এক-এগারোর মঞ্চপালা
দারুন হলো, কাটলো বেলা
কেউ নেই আর কারাগারে
দুদুকের লাশ হিমাগারে।

দেখনি যখন ঘুঘুর ফাঁদ
হাতে তুলে নাও ইচ্ছে-চাঁদ
নাট্যকারদের জয় হোক
ঈদ মুবারক, ঈদ মুবারক!
____
পুনশ্চ: এর ফিরতি এসএমএস-এ লেখা হয় অনেক কিছু; কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সব কোনটিই বার্তা হয়ে ওঠে না কিছুইতেই।








No comments:

Post a Comment