Showing posts with label লকডাউন. Show all posts
Showing posts with label লকডাউন. Show all posts

Sunday, May 24, 2020

করোনায় নিরানন্দ ঈদ

করোনা দুর্যোগের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডব। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূল জেলা সাতক্ষীরার বেড়িবাঁধ ভেঙে পানির তোড়ে ভেসে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। তাই দোরগোড়ায় ঈদ এলেও সবকিছু ছাপিয়ে পানিবন্দি মানুষের এবারের লড়াইটা বহুমুখী। পানির হাত থেকে নিজের শেষ সম্বলটুকু বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন শ্যামনগর জনপদের বাসিন্দারা। স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামতের চেষ্টা। সংক্রমণ এড়াতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি এখানে অবান্তর।

Tuesday, April 28, 2020

লকডাউনে শিথিলতা

প্রায় একমাস পর ঢাকা মহানগরীতে এলো অনানুষ্ঠানিক শিথিলতা। দ্বিতীয় রমজানে নগর পুলিশ জানালো, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার বিক্রির করা যাবে। পাশাপাশি কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্য ও মুদি দোকান বেলা ২টার বদলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হলো। অর্থাৎ, জনমানুষ চলাচলে শিথিলতার কথাই জানালো পুলিশ।

Tuesday, April 21, 2020

দম যেন মোর যায়…




লকডাউনের একেকটি সন্ধ্যারাতে ভূতের শহর ঢাকা মহানগরী। ছয় কিলোমিটার মাত্র পথ। অফিস গাড়ি বাদে নিত্য হেঁটে ডেরায় ফেরা।  মুখোশে, ক্যাপে, হেভারশেকে ও ঝুলন্ত আইডিতে পদাতিক জবরজং। 

অবশ্য এই রীতি বছর পঁচিশ বা তারও কিছু বেশী। রিপোর্টারের কর্মস্থল বদলে  বদলায় দূরত্ব, দুই, পনের হয়ে এখন ছয়। সময়ে এখন উঁচু পদে পোর্টার, বাস্তবে নিউজক্লার্ক, নিতান্তই করে খাওয়ার চেষ্টা। মার্ক টালির স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে সাপ্তাহিকীতে বলপয়েন্ট-নিউজপ্রিন্টে জীবন ক্ষয় করারকালেই।

আর এই সেদিন নাস্তিকব্লগার হ্যাশট্যাগে চাপাতিতন্ত্রের ব্লাসফেমাসে হন্টনে বিরতি। দেহরক্ষীতেও কী অষ্টপ্রহর সুরক্ষা নিশ্চিত? বা কোমরবন্ধের খাপে আত্মরক্ষা?  
অকাতরে অভিজিৎ রায়দের গলা কাটার আস্কারায় হোলি আর্টিজান গদিতে ছেটায় সুলেখা কালি, কলংকের চেয়েও কালো। নিব্রাস গংদের অটোমেটিক আর ধারালো অস্ত্রের ঘায়ে উল্টে যায় পাশার দান।

Saturday, March 28, 2020

বাংলাদেশে সঙ্গরোধ?


করোনার কারণে ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসের সকালেই ১৫ দিনের অনানুষ্ঠানিক লকডাউনের খপ্পরে দেশ। ট্রেন-লঞ্চ-বিমান বন্ধ হয়েছে আগেই, বন্ধ হলো গণপরিবহন।
অবশ্য ঘোড়ার আগেই গাড়ি ছুটেছে বেশ। প্রথম ঘোষণা এলো টানা স্কুল-কলেজ ছুটি। বাঙালিকে আর পায় কে? ‘ফেরারী এই মনটা আমার, মানে না কোনো বাঁধা’…
দলে দলে সবাই বন্ধু-বান্ধব, স্বপরিবারে ছুটলো কক্সবাজারে সাগরপাড়ে, অনেকেই সেন্ট মার্টিন প্রবাল দ্বীপে। উপচে পড়া পর্যটকে রোহিঙ্গা উপদ্রুত সীমান্ত শহরটি ফিরে পায় প্রাণ। টিভির পর্দায় হেসে হেসে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা বয়ান দেন, ‘পরীক্ষার পর এই লম্বা ছুটি, তাই বন্ধু-বান্ধব নিয়া দল বাইন্ধা ঘুরতে আসছি, খুব মজা লাগতেছে’… ইত্যাদি।