০১. কল্পনা চাকমা অপহরণ ইস্যুতে গত ১৮ বছর ধরে কতিপয় মানবাধিকার সংস্থা বছর জুড়ে আশ্চর্য নিরবতা পালন করলেও শুধু অপহরণ দিবসের আগেভাগে মেকি কান্নাকাটি করছে। ২৭ মে এই মামলাটির শুনানী রাঙামাটি আদালতে হওয়ার কথা। এ নিয়ে আমার সতীর্থ পাহাড়ি বন্ধুরা বিশেষ উদ্বিগ্ন। তাদের উদ্বিগ্নতাই স্বাভাবিক। কারণ, গত ১৮ বছর ধরে এই স্পর্শকাতর মামলাটি রয়েছে দীর্ঘসূত্রীতায়।
অন্তত চার দফায় প্রশাশন মামলাটিকে খারিজ করে ধামাচাপা দিতে চেয়েছে। অর্থাৎ রেহাই দিতে চেয়েছে অভিযুক্ত অপহরণকারী লেফটেনেন্ট ফেরদেৌসসহ আরো তিন সহযোগির। কল্পনা অপহরণ মামলা ধামাচাপা দেওয়া হলে এতো বড় একটি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকেই ধামাচাপা দেওয়া হবে। ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হবে স্বাধীন দেশে গত চার দশক ধরে পাহাড়ে আদিবাসী মানুষেরও ওপর সীমাহীন গণহত্যা, গণধর্ষন, খুন, অপহরণ ও গুম করার ধারাবাহিকতার একটি জঘন্নতম অধ্যায়।
‘কর্ণফুলীর কান্না, মধুপুরে মিশে গেছে, চলেশ রিছিলের তাজা রক্তে....’- এমনই শাণিত কথামালা আর তাতে আরোপ করা সুরের ঝংকার নিয়ে পাহাড় থেকে সমতলে ছুটে বেড়াচ্ছে ‘মাদল’। যেখানেই ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ওপর জুলুম চলে, সেখানেই সংগ্রামী গণসংগীত নিয়ে হাজির হয় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এই গানের দলের তরুণরা। ‘জেগে উঠুক মানবতার জয়োগান’- এই হচ্ছে তাদের আহ্বান। আলাপচারিতায় তাদের অভিব্যক্তি, ‘গানই আমাদের সংগ্রামের হাতিয়ার। পাশাপাশি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে আমরা দেখাতে চাই নতুন দিনের স্বপ্ন।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিনব এ গানের দলে রয়েছেন ভিন্ন ভাষাভাষী চাকমা, গারো, মারমা, বম ও সিং জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা। বাংলা ভাষার পাশাপাশি তাঁরা নিজস্ব জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী গানও পরিবেশন করেন। মাদলের শিল্পীরা এখন উদ্যোগ নিয়েছেন হারিয়ে যেতে বসা আদিম সুরের গানগুলো সংগ্রহের। পরে তাঁরা এগুলো আধুনিক বাদ্যযন্ত্রে নতুন করে পরিবেশন করবেন। বলা ভালো, দেশে এ ধরনের গানের দল এটিই প্রথম। তবে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর রয়েছে নিজ নিজ ভাষার অসংখ্য গানের দল।
হুমায়ুন আজাদ, রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ এবং ....।
সহব্লগার অনন্ত খুন হওয়ার খবরটি অস্পষ্টভাবে সেদিন সাত সকলেই শুনলাম। মুক্তমনের মাহফুজ ভাই ফোন করে খোঁজ নিতে বললেন। আমি সাংবাদিক, তাই হয়তো আমার পক্ষে জানা সহজ। আমি পাগলের মতো সিলেটের সাংবাদিকদের টেলিফোন করতে থাকি। আরেক হাতে টিভি চ্যানেলের রিমোট চিপে একের পর এক সংবাদের স্ক্রলগুলো দেখতে থাকি। আমাকে কেউ বলুন, প্লিজ আমাকে বলুন, ব্লগার অনন্তর কি হয়েছে? তিনি এখন কোথায়?
বিপ্লব রহমান ও তোফায়েল আহমদ
বনায়নের নামে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে কক্সবাজারের রামুতে পাহাড় কেটে পুকুর তৈরি করেছে বন বিভাগ। যদিও পুকুরে পানির দেখা মেলেনি। আর বোটানিক্যাল গার্ডেনের (উদ্ভিদ উদ্যান) নামে বন বিভাগের গোলাপ বাগান গড়ার উদ্যোগও গেছে ভেস্তে। 'কক্সবাজার জেলার পাহাড়ি প্রাণবৈচিত্র্য পুনরুদ্ধার' নামের প্রকল্পে এভাবেই অপচয় করা হয়েছে জলবায়ু তহবিলের অর্থ।
স্বপনপারের ডাক শুনেছি তথ্য সাংবাদিকতার পেশাগত কাজে গত বছর জানুয়ারিতে পাবনা সফর করে ঢাকায় ফিরছি। অফিস অ্যাসাইন্টমেন্ট ছিলো ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কাভার করা। কাজ শেষে ভাবলাম, এবার ফেরার পথে পাশের জেলা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ঘুরে যাই। উদ্দেশ্য রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি দর্শন। একটি ঐতিহাসিক স্থান।
বিপ্লব রহমান ও বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্ত্তী সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা কমে গেছে। বাঘের পায়ের ছাপের আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্রের (ক্যামেরা ট্র্যাপিং) প্রাথমিক বিশ্লেষণে এমন তথ্য ধরা পড়েছে। বন বিভাগ জানিয়েছে, বাঘশুমারির অংশ হিসেবে সম্প্রতি একদল বিশেষজ্ঞ বন থেকে সংগ্রহ করেছেন বাঘের পায়ের ছাপচিত্র। আর বছরখানেক ধরে সংগ্রহ করা হয়েছে বাঘের ভিডিওচিত্র। বিশেষজ্ঞরা এখন এ দুটি নমুনা মিলিয়ে দেখছেন, বিশ্লেষণ করছেন। তাঁদের মতে, সিডর-আইলাসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বনে চোরা শিকারির উৎপাত বৃদ্ধি, মানুষের সংঘাত, খাদ্যশৃঙ্খল ক্ষেত্রবিশেষে ভেঙে পড়ার কারণে সুন্দরবনে বাঘের অস্তিত্ব এখন অতি বিপন্ন।