হিযবুত তাহরির নামক সেই রহস্যময় জেহাদী সংগঠনের ১০ জন সদস্য গতকাল রাজশাহীতে আটক হওয়ার পর আজই দুপুরে তারা ঢাকার ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে সমাবেশ করেছে।
ঘরোয়া রাজনীতির সুযোগে সরকার বিরোধী জেহাদী বক্তব্যও দিয়েছে। একটু আগে টিভি নিউজে সেই নারায়ে তাকবির...ইত্যাদিসহ জেহাদি সংবাদটি দেখে অনেকটাই অপ্রাসঙ্গিকভাবে মনে পড়লো, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে আমেরিকায় ইফতার পার্টি-সংবর্ধনার নামে প্যারোলের শর্ত ভঙ্গ করে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন, তখন এই আপাত নিরীহ হিযবুত তাহরির তো অন্তত ঘরোয়া রাজনীতিই করছে!
কিন্তু প্রশ্ন জাগে, রাজশাহীতে সরকার বিরোধী পোস্টার-লিফলেট থাকার অপরাধে হিযবুতের ১০ জন জঙ্গি সন্দেহে আটক হতে পারলে খোদ রাজধানীর বুকে তারা কী ভাবে আবার সরকার বিরোধী সমাবেশ-বক্তৃতাবাজীর সাহস পায়?
গুডবাই মি. জেনারেল। অবশেষে আপনি ১২ তম সেনা প্রধানের পদ থেকে অবসর নিলেন। বিদায় বেলায় আপনাকে জানিয়ে দিতে চাই, এ দেশের মানুষ আপনার কৃতিত্বর জন্য অনেকদিন আপনাকে মনে রাখবে। এমনকী আপনি হতে পারেন ইতিহাসেরও একটি অধ্যায়।
[গণমাধ্যমে প্রায়ই মজার মজার কিছু সত্যি ঘটনা ঘটে। এ সব কখনো কখনো প্রচলিত হাস্য কৌতুককে হার মানিয়ে দেয়। আবার এসব প্রেস জোকসের নেপথ্যে থাকে কষ্টকর সাংবাদিকতা পেশাটির অনেক অব্যক্ত কথা। এমনই কিছু বাস্তব ঘটনা নিয়ে এই 'প্রেস জোকস' পর্ব। রীতিমত প্রাপ্তমনস্কদের জন্য রচনা।]
ট্যাক্স ফ্রি
বিখ্যাত ফটো সাংবাদিক মোহাম্মাদ আলম (কিছুদিন আগে প্রয়াত) ভাইয়ের ঘটনা। ১৯৭২-৭৩ সালে আলম ভাই ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত আলোকচিত্রী। পানপ্রিয় আলম ভাই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সাথে মস্কো সফর শেষে দেশে ফেরার সময় সাথে নিয়ে এসেছেন এক বোতল রাশান ভোদকা। তো তেজগাঁ বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা কিছুতেই তাকে ছাড়বেন না। তারা ভোদকার জন্য ট্যাক্স দাবি করে বসলেন। এদিকে আলম ভাই কর্পদশুন্য।
(ফুন্দুরী রাঙ্গা ঝুরবো ফেগ, তম্মা মইলে মুইদো এজ…চাকমা ছড়াগান…রাঙালেজের কান্ত পাখি, তোমার মা মারা গেলে আমার কাছে এসো…)
০১। কোনো পেশাগত কারণে নয়, স্রেফ বেড়াতে যাওয়ার জন্যই সেবার পাহাড়ে যাই চাকমা আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বিঝুর আমন্ত্রণে। ১৯৯২ সালের ১১ এপ্রিল সকালে কলাবাগান থেকে বিশাল দলবলসহ লক্কড়-ঝক্কড় বাস ‘ডলফিন’ ছাড়ে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। সেটা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরেরও বছর পাঁচেক আগের ঘটনা [লিংক]। পাহাড় তখন দারুন অশান্ত, যুদ্ধ — বিক্ষুব্ধ। জনসংহতি সমিতির সাবেক গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর রক্তক্ষয়ী বন্দুক যুদ্ধ লেগেই আছে [লিংক]।
চাকরিটা আমি ছেড়ে দিয়েছি, বেলা শুনছো?...অবশেষে আরটিভির সামান্য বেতনের উঁচু পদের গ্লানিময় বস্তিবাস-জীবনের অবসান ঘটেছে। সেদিন সুন্দর এক সকালে অফিসে ঢুঁকে আমার ডেস্কের ডেল-কম্পিউটারে দ্রুত টাইপ করে ফেললাম পদত্যাগপত্র।
'বরাবর, চেয়ারম্যান, আরটিভি। বিষয়: পদত্যাগপত্র।