২০১৭ সালের ১২-১৩ জুন রাতে শুরু হয় একের পর এক পাহাড় ধসের যজ্ঞ। এক সঙ্গে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ব্যপক হতাহতের খবর চমকে ওঠে দেশ। এরমধ্যে রাঙামাটিই সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতি বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে বিপন্ন, লণ্ডভণ্ড হয় পার্বত্য জনপদ।
সে সময় একজন পাহাড়ি বন্ধু ফেসবুকে মাটিচাপা পড়া দুটি নিস্পাপ শিশু ভাইবোনের কাদামাখা নিথর দেহের ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে সঙ্গে কেউ একজন মন্তব্য করেন এরকম, “ছবিটি কেউ সরাবেন প্লিজ? আমি আর নিতে পারছি না!“
গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ১৪ জুন রাঙামাটি থেকে আরও ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এ জেলায় পাহাড়ধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৫ জনে। বান্দরবান ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করা হয় আরও তিনজনের লাশ। সেদিন রাতে নতুন করে পাহাড়ধসে কক্সবাজারের টেকনাফে দুজন, খাগড়াছড়িতে একজন ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় আরও একজন মারা যান। সব মিলিয়ে তিন পার্বত্য জেলা এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় পাহাড়ধসে মারা যান ১৪০ জন।
এ ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালায়। তারা দ্রুততার সাথে সড়ক-ব্রিজ-কালভার্ট মেরামত করে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমন্বয় করা হয় ত্রাণ তৎপরতা। সারাদেশের মানুষ হাত বাড়ান পার্বত্য বাসীর সহায়তায়।
লক্ষ্যনীয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাসখানেক ধরে আশ্রয় শিবির খুলে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকা-খাওয়ার যে ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে পাহাড়ি পরিবার প্রায় ছিলই না। বরাবরই দেখা গেছে, পাহাড় ও প্রকৃতি সমর্পকে বাস্তবিক জ্ঞান থাকার কারণে পাহাড় ধসের মতো ঘটনায় আদিবাসী পাহাড়িরা অনেক কম ক্ষতিগ্রস্ত হন।
সবুজ মরুভূমি____________
আমরা যারা প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ রক্ষার কথা বলি, তারা মানবাধিকার, তথা পরিবেশগত ঝুঁকির কারণেও বহুবছর ধরে পাহাড়ে বহিরাগত বাঙালিদের (যারা স্থানীয়ভাবে ‘সেটেলার‘ হিসেবে পরিচিত) বেআইনি বসতি স্থাপন বন্ধের কথা বলে আসছি।
কিন্তু ভোটের হিসেব কষে পাহাড়ে আদিবাসী পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করতে ও বাঙালি সেটেলার ভোট বাড়াতে দিনের পর দিন সেখানে বহিরাগতদের বসতি দেওয়া হয়েছে। নদীভাঙা, হত-দরিদ্র সমতল অঞ্চলের এসব মানুষের পাহাড়-অরণ্য ও প্রকৃতি সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা নেই। তাই বন উজার ও গাছ কেটে লাকড়ি সংগ্রহ করা তাদের প্রধান পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বসতি গড়তে গিয়ে যথেচ্ছ পাহাড়-টিলা কাটা ছাড়াও রয়েছে বেআইনি ইটভাটার দৌরাত্ব।
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে শহরের উপকন্ঠেই চোখে পড়বে পাহাড় কেটে নাশ করা অসংখ্য ইটভাটার দৌরাত্ব। এসব নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে কিছুদিন আগেও সাংবাদিক সহকর্মি বুদ্ধজ্যোতি চাকমা প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়েছেন।
আর দিনের পর দিন পাহাড় থেকে প্রাকৃতিক বন ও বড় বড় গাছ কাটার ফলে কথিত অরণ্যভূমি পার্বত্যাঞ্চল আসলে পরিনত হয়েছে সবুজ মরুভূমিতে। সেখানে ‘গহিন বিস্তৃর্ণ প্রাকৃতিক বন‘ বলতে সত্যিকার অর্থে খুব বেশীকিছু আর নেই, রয়েছে কিছু জঙ্গল।
পর্যটন নগরী রাঙামাটির কথাই বলা যাক। ছোট্ট এ শহর ঘুরলেই চোখে পড়বে যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা প্রায় ২০০টি আসবাবপত্রের দোকান। শাল-সেগুন কাঠের দামী আসবাবপত্র সেসব দোকানে ঠাসা। রাঙামাটিবাসী কতো আসবাব ব্যবহার করেন? আর বিপুল সংখ্যক এতো দামী আসবাবের ক্রেতাই বা এই গরীব পাহাড়ের দেশে কারা?
খোঁজ নিলেই জানা যাবে, এসব আসবাবের মূল ক্রেতা আসলে সেখানে বেড়াতে আসা শহুরে বাবুরা। যেহেতু গণমাধ্যম আগের চেয়ে অনেক বেশী সক্রিয়, তাই সরাসরি এখন দিনেদুপুরে কাঠ পাচার করা যাচ্ছে না। আসবাবপত্র বানিয়ে সেগুলোকে এখন পাচার করা সহজ হয়েছে। পাহাড়ের আসবাব আবার ঢাকাসহ বড় বড় শহরের শোরুমগুলোর শোভা বর্ধন করে চলেছে। আসবাবের আড়ালে কাঠপাচার প্রতিযোগিতায় খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানও পিছিয়ে নেই।
আমরা বলি, সর্বজন!_____________
এভাবে রাজনৈতিক কারণে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে পাহাড়ে বাঙালি ভোটের পাল্লা ভাড়ি করতে গিয়ে সেখানে বেআইনি বসতি স্থাপন, উন্নয়নের নামে ইটভাটার দৌরাত্ম বৃদ্ধি, যথেচ্ছ পাহাড় ও বনভূমি উজার করার প্রত্যক্ষ ফল হচ্ছে এইসব পাহাড় ধস। গাছ কাটার ফলে গাছের শেকড় আগের মতো মাটি জমাটবদ্ধ করে ধরে রাখতে পারছে না। ফলে সামান্য ভাড়ি বৃষ্টিতেই বেলেমাটির পাহাড়ে ধস নামছে। চাপা পড়ছে জনপদ, বসতঘর, সড়ক যোগাযোগ। [দ্র. শঙ্খ নদী : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা]
জনসংখ্যার চাপে আগের মতো এখন ১০-১২ বছর পতিত রাখার পর একই পাহাড়ে আবার জুম (পাহাড়ের ঢালে বিশেষ চাষাবাদ) চাষ করা সম্ভব হয় না। পাহাড়ি জুমিয়ারা মাত্র ৫-৬ বছর পর পর একই পাহাড়ে জুম চাষ করছেন। প্রান্তিক জুম চাষীদের জীবন ধারণের আর কোনো পথও খোলা নেই। ফলে পাহাড়গুলো উর্বরতা তো হারাচ্ছেই, ভূমি ক্ষয়ও বাড়ছে। [দ্র. জুম চাষ : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা]
ভূমির ক্ষয় বাড়তে থাকায় পার্বত্যাঞ্চলে নদী-জলাশয়গুলোও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বান্দরবানের শংখ নদী ভরাট হতে হতে এমন দশা যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই খোদ শহরের ভেতরেই নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে, নদী আর আগের মতো পানি ধরে রাখতে পারছে না।
বরাবরই পাহাড় ধসের ঘটনা কিছু না কিছু ঘটে আসছে, সে সবই ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু গত এক দশকে এতো বড় একটি ঘটনা নিছক প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এর আগে ২০০০ সালে অতিবর্ষণে বান্দরবানের লামার চিয়রতলি এলাকায় ছোটবড় শতাধিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনা প্রমান করে দিচ্ছে, পাহাড়ে বেআইনী বসতি বেড়ে চলেছে। আর সেখানে পরিবেশ বিরুদ্ধ দেদার বসতি স্থাপন ও বন উজাড় বন্ধ না হলে এমন প্রকৃতির প্রতিশোধ হতেই থাকবে।
সবশেষ, এ বছর গত ৮ জুলাই অতি বর্ষণে কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে শিশুসহ দুজন মারা গেছে। পরিস্থিতি এমন যে, টানা বৃষ্টি হলেই পাহাড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
সে সময় একজন পাহাড়ি বন্ধু ফেসবুকে মাটিচাপা পড়া দুটি নিস্পাপ শিশু ভাইবোনের কাদামাখা নিথর দেহের ছবি পোস্ট করেন। সঙ্গে সঙ্গে কেউ একজন মন্তব্য করেন এরকম, “ছবিটি কেউ সরাবেন প্লিজ? আমি আর নিতে পারছি না!“
গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, ১৪ জুন রাঙামাটি থেকে আরও ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এ জেলায় পাহাড়ধসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৫ জনে। বান্দরবান ও চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে উদ্ধার করা হয় আরও তিনজনের লাশ। সেদিন রাতে নতুন করে পাহাড়ধসে কক্সবাজারের টেকনাফে দুজন, খাগড়াছড়িতে একজন ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় আরও একজন মারা যান। সব মিলিয়ে তিন পার্বত্য জেলা এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় পাহাড়ধসে মারা যান ১৪০ জন।
এ ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনীর জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালায়। তারা দ্রুততার সাথে সড়ক-ব্রিজ-কালভার্ট মেরামত করে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমন্বয় করা হয় ত্রাণ তৎপরতা। সারাদেশের মানুষ হাত বাড়ান পার্বত্য বাসীর সহায়তায়।
লক্ষ্যনীয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাসখানেক ধরে আশ্রয় শিবির খুলে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকা-খাওয়ার যে ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে পাহাড়ি পরিবার প্রায় ছিলই না। বরাবরই দেখা গেছে, পাহাড় ও প্রকৃতি সমর্পকে বাস্তবিক জ্ঞান থাকার কারণে পাহাড় ধসের মতো ঘটনায় আদিবাসী পাহাড়িরা অনেক কম ক্ষতিগ্রস্ত হন।
সবুজ মরুভূমি____________
আমরা যারা প্রাণ-প্রকৃতি পরিবেশ রক্ষার কথা বলি, তারা মানবাধিকার, তথা পরিবেশগত ঝুঁকির কারণেও বহুবছর ধরে পাহাড়ে বহিরাগত বাঙালিদের (যারা স্থানীয়ভাবে ‘সেটেলার‘ হিসেবে পরিচিত) বেআইনি বসতি স্থাপন বন্ধের কথা বলে আসছি।
কিন্তু ভোটের হিসেব কষে পাহাড়ে আদিবাসী পাহাড়িদের সংখ্যালঘু করতে ও বাঙালি সেটেলার ভোট বাড়াতে দিনের পর দিন সেখানে বহিরাগতদের বসতি দেওয়া হয়েছে। নদীভাঙা, হত-দরিদ্র সমতল অঞ্চলের এসব মানুষের পাহাড়-অরণ্য ও প্রকৃতি সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা নেই। তাই বন উজার ও গাছ কেটে লাকড়ি সংগ্রহ করা তাদের প্রধান পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বসতি গড়তে গিয়ে যথেচ্ছ পাহাড়-টিলা কাটা ছাড়াও রয়েছে বেআইনি ইটভাটার দৌরাত্ব।
রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে শহরের উপকন্ঠেই চোখে পড়বে পাহাড় কেটে নাশ করা অসংখ্য ইটভাটার দৌরাত্ব। এসব নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে কিছুদিন আগেও সাংবাদিক সহকর্মি বুদ্ধজ্যোতি চাকমা প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়েছেন।
আর দিনের পর দিন পাহাড় থেকে প্রাকৃতিক বন ও বড় বড় গাছ কাটার ফলে কথিত অরণ্যভূমি পার্বত্যাঞ্চল আসলে পরিনত হয়েছে সবুজ মরুভূমিতে। সেখানে ‘গহিন বিস্তৃর্ণ প্রাকৃতিক বন‘ বলতে সত্যিকার অর্থে খুব বেশীকিছু আর নেই, রয়েছে কিছু জঙ্গল।
পর্যটন নগরী রাঙামাটির কথাই বলা যাক। ছোট্ট এ শহর ঘুরলেই চোখে পড়বে যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা প্রায় ২০০টি আসবাবপত্রের দোকান। শাল-সেগুন কাঠের দামী আসবাবপত্র সেসব দোকানে ঠাসা। রাঙামাটিবাসী কতো আসবাব ব্যবহার করেন? আর বিপুল সংখ্যক এতো দামী আসবাবের ক্রেতাই বা এই গরীব পাহাড়ের দেশে কারা?
খোঁজ নিলেই জানা যাবে, এসব আসবাবের মূল ক্রেতা আসলে সেখানে বেড়াতে আসা শহুরে বাবুরা। যেহেতু গণমাধ্যম আগের চেয়ে অনেক বেশী সক্রিয়, তাই সরাসরি এখন দিনেদুপুরে কাঠ পাচার করা যাচ্ছে না। আসবাবপত্র বানিয়ে সেগুলোকে এখন পাচার করা সহজ হয়েছে। পাহাড়ের আসবাব আবার ঢাকাসহ বড় বড় শহরের শোরুমগুলোর শোভা বর্ধন করে চলেছে। আসবাবের আড়ালে কাঠপাচার প্রতিযোগিতায় খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানও পিছিয়ে নেই।
আমরা বলি, সর্বজন!_____________
এভাবে রাজনৈতিক কারণে জনসংখ্যার ভারসাম্য নষ্ট করে পাহাড়ে বাঙালি ভোটের পাল্লা ভাড়ি করতে গিয়ে সেখানে বেআইনি বসতি স্থাপন, উন্নয়নের নামে ইটভাটার দৌরাত্ম বৃদ্ধি, যথেচ্ছ পাহাড় ও বনভূমি উজার করার প্রত্যক্ষ ফল হচ্ছে এইসব পাহাড় ধস। গাছ কাটার ফলে গাছের শেকড় আগের মতো মাটি জমাটবদ্ধ করে ধরে রাখতে পারছে না। ফলে সামান্য ভাড়ি বৃষ্টিতেই বেলেমাটির পাহাড়ে ধস নামছে। চাপা পড়ছে জনপদ, বসতঘর, সড়ক যোগাযোগ। [দ্র. শঙ্খ নদী : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা]
জনসংখ্যার চাপে আগের মতো এখন ১০-১২ বছর পতিত রাখার পর একই পাহাড়ে আবার জুম (পাহাড়ের ঢালে বিশেষ চাষাবাদ) চাষ করা সম্ভব হয় না। পাহাড়ি জুমিয়ারা মাত্র ৫-৬ বছর পর পর একই পাহাড়ে জুম চাষ করছেন। প্রান্তিক জুম চাষীদের জীবন ধারণের আর কোনো পথও খোলা নেই। ফলে পাহাড়গুলো উর্বরতা তো হারাচ্ছেই, ভূমি ক্ষয়ও বাড়ছে। [দ্র. জুম চাষ : একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা]
ভূমির ক্ষয় বাড়তে থাকায় পার্বত্যাঞ্চলে নদী-জলাশয়গুলোও ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বান্দরবানের শংখ নদী ভরাট হতে হতে এমন দশা যে, সামান্য বৃষ্টি হলেই খোদ শহরের ভেতরেই নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে, নদী আর আগের মতো পানি ধরে রাখতে পারছে না।
বরাবরই পাহাড় ধসের ঘটনা কিছু না কিছু ঘটে আসছে, সে সবই ছিল বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু গত এক দশকে এতো বড় একটি ঘটনা নিছক প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয়। এর আগে ২০০০ সালে অতিবর্ষণে বান্দরবানের লামার চিয়রতলি এলাকায় ছোটবড় শতাধিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।
এসব ঘটনা প্রমান করে দিচ্ছে, পাহাড়ে বেআইনী বসতি বেড়ে চলেছে। আর সেখানে পরিবেশ বিরুদ্ধ দেদার বসতি স্থাপন ও বন উজাড় বন্ধ না হলে এমন প্রকৃতির প্রতিশোধ হতেই থাকবে।
সবশেষ, এ বছর গত ৮ জুলাই অতি বর্ষণে কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধসে শিশুসহ দুজন মারা গেছে। পরিস্থিতি এমন যে, টানা বৃষ্টি হলেই পাহাড়ে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
No comments:
Post a Comment