Friday, February 21, 2014

আদিবাসী শিশু পড়বে নিজ ভাষাতেই

একুশের সংবাদ: আদিবাসী শিশু পড়বে নিজ ভাষাতেই
by Biplob Rahaman for AlalODulal.org  

কিছুদিন আগে বিশিষ্ট আদিবাসী গবেষক, চাকমা রাজা দেবাশীষ রায়ের সঙ্গে আলাপ-চারিতা হচ্ছিল আদিবাসী শিশুর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার বিষয়ে। তিনি জানালেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সমতলের চেয়ে পাহাড়ে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার অনেক বেশী। এর একটি প্রধান কারণ, শিশু শিক্ষায় ভাষাগত বাধা। তবে এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি জরিপ চালানো হয়নি বলে সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া কঠিন।

Monday, February 17, 2014

একুশের সংবাদ: মুনীর অপটিমা থেকে অভ্র


শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী ১৯৬৫ সালে উদ্ভাবন করেন ‘মুনীর অপটিমা’ টাইপরাইটার। ছাপাখানার বাইরে সেই প্রথম প্রযুক্তির সূত্রে বাংলা পেল নতুন গতি। স্বাধীনতার পর ইলেকট্রনিক টাইপরাইটারেও যুক্ত হয় বাংলা। পরে আটের দশকে ‘বিজয়’ সফটওয়্যার ব্যবহার করে সম্ভব হয় কম্পিউটারেই বাংলা লেখা। আর ২০০৩ সালের ২৬ মার্চ মুক্ত সফটওয়্যার ‘অভ্র’ উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এক নবযাত্রা।

আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন বা ইউনিকোডে বাংলা বর্ণলিপি যুক্ত হওয়ায় ‘অভ্র’ ফন্টে সম্ভব হয় ইন্টারনেটে বাংলায় লেখালেখিসহ বাংলায় ওয়েবসাইট নির্মাণ। একই সঙ্গে অফলাইনে বাংলার প্রসার বাড়ে এই সফটওয়্যারে। কম্পিউটারে বাংলা লেখার সুযোগ সৃষ্টি মুদ্রনশিল্পেও এনেছে অভাবনীয় পরিবর্তন।

‘অভ্র’ উদ্ভাবন করেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান খান। মেহেদী, রিফাতুন্নবি, তানভিন ইসলাম সিয়াম, রাইয়ান কামাল, শাবাব মুস্তফা, নিপুণ হক- এই কয়েক বন্ধু সেই থেকে ‘অভ্র’র উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’- এই স্লোগানে ‘অভ্র’র সম্মুখযাত্রা শুরু। এর সমস্ত সংস্করণ ওয়েবসাইট [omicronlab.com] থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীর সুযোগ রয়েছে অভ্র, প্রভাত বা ফনেটিক কি-বোর্ড বাছাই করার। এমনকি যিনি কম্পিউটারে বাংলা লিখতে অভ্যস্ত নন, তিনিও অন্তত কিছু বাক্য ‘অভ্র’তে লিখতে পারবেন ডিজিটাল কি-বোর্ড থেকে মাউস দিয়ে।

Saturday, February 15, 2014

একুশের সংবাদ: ক্ষুদ্রজাতির ভাষায় বিশ্বকোষ


বাঙালি ছাড়াও এ দেশে বংশপরম্পরায় বসবাস করছে প্রায় ৭০টি ক্ষুদ্রজাতির প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। তাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি ও ঐতিহ্য। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র, শিক্ষা-দীক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞানের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে তারাও সমান অংশীদার। একুশের গৌরবের পথচলায় বাংলা ভাষা ছাড়াও ক্ষুদ্রজাতির নিজস্ব ভাষাতেই হচ্ছে লেখাপড়া, সাহিত্য নির্মাণ, গবেষণা ও জ্ঞানচর্চা। আর এখন ইন্টারনেটভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া [wikipedia.org], সংক্ষেপে উইকিতে যোগ হয়েছে ক্ষুদ্রজাতির ভাষা। সমগ্র উইকিপিডিয়ার মোট ২৮৫টি ভাষার মধ্যে বাংলা ভাষার পাশাপাশি স্থান করে নিয়েছে এ দেশের বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, সাঁওতালি ও চাকমা ভাষা। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে সাঁওতালি ও চাকমা ভাষার উইকিপিডিয়া নির্মাণ উদ্যোগ।

নির্মাতাদের সূত্রে জানা গেছে, উইকিপিডিয়া হলো জনমানুষের হাতে তৈরি সাধারণের জন্য লেখা বিশ্বকোষ। বাংলাদেশের ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলা ছাড়া কেবল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় রয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ উইকি। বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি উইকি নির্মাণ শুরু হয় ২০০৬ সালে। পরের তিন বছর পর্যন্ত এর অগ্রগতি ছিল অনেকটাই সাবলীল। কাজটি একাই অনেকটা এগিয়ে নেন নিউ ইয়র্কপ্রবাসী উত্তম সিংহ। তবে স্বেচ্ছাশ্রমে সমষ্টিগত অবদানকারীর অভাবে ২০০৯ সাল থেকে ধীর হয়ে পড়ে এর কার্যক্রম।

Friday, February 14, 2014

একুশের সংবাদ: আলো ছড়াচ্ছে ভাষা শিক্ষার নিকেতন



ভাষার ওপর নিবিড় শিক্ষা ও উচ্চতর গবেষণায় জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষানিকেতন বিগত চার দশকে পরিণত হয়েছে বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠানে। নিয়মিত গবেষণাপত্র প্রকাশ, আলোচনা সভা ও স্মারক বক্তৃতার আয়োজন, সুবিশাল পাঠাগার, ছাত্রবৃত্তি প্রদানের মতো অর্জনও কম নয় প্রতিষ্ঠানটির।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলা ছাড়াও রয়েছে ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, জাপানি, চীনা, আরবি, কোরিয়ান, ইতালিয়ান, ফারসি, রুশ, স্প্যানিশ ও টার্কিশ ভাষা শিক্ষার বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এখানে একেকটি কর্মসূচিতে সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিরা দূতাবাস, জাতিসংঘ মিশন, বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন পেশায় রাখছেন মেধার স্বাক্ষর। তবে ইনস্টিটিউটের বাংলা ভাষা শিক্ষার কর্মসূচিটি কেবলই বিদেশিদের জন্য। অন্যসব কর্মসূচি অবশ্য সবার জন্যই উন্মুক্ত। ইনস্টিটিউটটি পরিচালিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।


১৩টি ভাষার যেকোনোটির ওপর প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীদের সেখান থেকে দেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ। ভাষার ওপর উচ্চতর গবেষণার (এমফিল, পিএইচডি) সুযোগও রয়েছে এখানে। এ জন্য যে সনদটি দেওয়া হয় সেটিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্বমানের এসব সনদ বহু বছর ধরে সমাদৃত হচ্ছে সর্বত্র। বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা শিক্ষার সনদটি ব্রিটিশ কাউন্সিল সমমানের। 

Thursday, February 13, 2014

একুশের সংবাদ: শুরু হচ্ছে দেশের সব ক্ষুদ্রজাতির ভাষার সমীক্ষা



দেশের সব ক্ষুদ্রজাতির ভাষা সংরক্ষণ ও বিকাশে প্রথমবারের মতো সমীক্ষা করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এরই মধ্যে গ্রহণ করেছে বছরব্যাপী এক কর্মসূচি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ভাষা ও নৃবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ এবং চৌকস একটি কর্মীবাহিনী আগামী মার্চ থেকে শুরু করবে মাঠপর্যায়ের সমীক্ষার কাজ। ক্ষুদ্রজাতির প্রতিনিধিরাও যুক্ত থাকছেন এ উদ্যোগে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশে নৃভাষার বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ নামক পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি চলবে ক্ষুদ্রজাতি অধ্যুষিত দেশের ২০টি অঞ্চলে। এরপর চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গা, ম্রো, লুসাই, বম, রাখাইন, গারো, হাজং, সাঁওতাল, ওঁরাও, মুণ্ডা, খাসিয়া, মণিপুরিসহ প্রায় ৭০টি ক্ষুদ্রজাতির প্রায় ২৫ লাখ মানুষের নিজস্ব ভাষা, উচ্চারণ, বর্ণমালা, ভাষার বৈশিষ্ট্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে চলবে গবেষণা। পরে মাঠ পর্যায়ের সব তথ্য ও শ্রুতি সংরক্ষণ করা হবে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের নিজস্ব তথ্য ব্যাংকে। ভাষাগত সংখ্যালঘুর এসব তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে প্রকাশ করা হবে বিশদ গ্রন্থ। এসব গ্রন্থ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে ওয়েবসাইটেও।

সরকারি অর্থায়নে পুরো সমীক্ষায় ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় চার কোটি টাকা। পরে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে চলবে নিবিড় গবেষণা। বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়ে পরবর্তী সময়ে বড় মাপে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ ভাষাভিত্তিক সমীক্ষা হবে। 

Tuesday, February 11, 2014

একুশের সংবাদ: নিউজ পোর্টালের গর্বিত পথচলা



আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন বা ইউনিকোডে বাংলা ভাষার লিপি যুক্ত হয়েছে বছর আটেক আগে। মুক্ত ইউনিকোড বাংলা ফন্ট অভ্র’র হাত ধরে এরপর অনলাইনে বাংলা ভাষার শুধুই এগিয়ে চলা। এ ভাষাতেই এখন তৈরি হচ্ছে জনমুখী নানা ওয়েবসাইট। বাংলাতেই গড়ে উঠেছে ইন্টারনেটভিত্তিক অসংখ্য সংবাদমাধ্যম বা নিউজ পোর্টাল। অভ্র ছাড়াও ইউনিকোডে যুক্ত হয়েছে আরো অনেক বাংলা ফন্ট। সাইবার বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে মহান একুশের অর্জন।

খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, বাংলায় নিউজ পোর্টাল ব্যবহারের ক্ষেত্রে ওপার বাংলার তুলনায় বাংলাদেশ বহুগুণে এগিয়ে গেছে। গত কয়েক বছরে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগের দাম কমে আসায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কালের কণ্ঠসহ দেশের প্রধান সারির বাংলা সংবাদপত্রগুলোও বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে প্রচার করছে তাৎক্ষণিক সংবাদ ও ছবি। থাকছে ভিডিওচিত্রও। প্রতি মুহূর্তের সংবাদ ও বিনোদনের জন্য খবরপিপাসু সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীরা টেলিভিশন ছাড়াও এখন গুরুত্ব দিচ্ছেন অনলাইন সংবাদকে।

পরিষেবামূলক বিভিন্ন ধরনের পোর্টালও বাংলা ভাষায় তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশেই। এর মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ, জ্বালানি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ের পোর্টাল বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারবিষয়ক জরিপ সংস্থা আলেক্সার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় নিউজ পোর্টাল চার হাজারের বেশি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নিউজ পোর্টালের সংখ্যা শতাধিক। এসব ওয়েবসাইটের নিবিড় পাঠক (ইউনিক ভিউয়ার) সংখ্যা এরই মধ্যে ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

Sunday, February 9, 2014

একুশের সংবাদ: ক্ষুদ্রজাতি পড়বে নিজ ভাষাতেই



একুশের গৌরবের পথচলায় বাংলার পাশাপাশি ক্ষুদ্রজাতির মাতৃভাষাও হয়েছে সমুন্নত। কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির প্রধান ভাষায় লিখিত চর্চা বহু বছর ধরে চলছে বেসরকারি উদ্যোগে। শুধু তা-ই নয়, পাহাড় ও সমতলে বেসরকারি উদ্যোগে চলছে বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির নিজ নিজ ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এবারই প্রথম খোদ সরকারই এগিয়ে এসেছে এই মহতি উদ্যোগ বাস্তবায়নে।

দেশের প্রায় ৭০টি ক্ষুদ্রজাতির প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হাজার বছর ধরে বংশপরম্পরায় ব্যবহার করছেন নিজস্ব মাতৃভাষা। পাশাপাশি বাঙালির সঙ্গে ভাব বিনিময়ে তাঁরা ব্যবহার করেন বাংলা। প্রতিটি ক্ষুদ্রজাতির রয়েছে নিজস্ব প্রাচীন ভাষা, রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। তবে কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা নেই। এ জন্য তাঁরা রোমান ও বাংলা হরফ ব্যবহার করেন। আবার চর্চার অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে অনেক ক্ষুদ্রজাতির ভাষা।

এ অবস্থায় প্রধান কয়েকটি ক্ষুদ্রজাতির ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায়, তাদের নিজস্ব ভাষায় পাঠদানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভাষাগুলো হচ্ছে, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো ও সাদ্রি। এর মধ্যে সাদ্রি ব্যবহার করেন উত্তরবঙ্গে বসবাসকারী ওঁরাও, মুণ্ডা, মালো, মাহাতো, রাজোয়ার, তেলি, বাগদি, লহরা, কর্মকারসহ ১৫টি ক্ষুদ্রজাতি। পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্তত দুই দশক ধরে বেসরকারি উদ্যোগে চলছে নিজস্ব বর্ণমালায় চাকমা ও মারমা ভাষার প্রাথমিক বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাতৃভাষায় পাঠ দেন সংশ্লিষ্ট ভাষার শিক্ষক। আর পাঠ্যবইও লেখা হয়েছে বেসরকারি উদ্যোগে। কয়েকটি উন্নয়ন সংস্থাও এই উদ্যোগের সঙ্গে আছে।

Friday, February 7, 2014

একুশের সংবাদ: জেলা তথ্য বাতায়নে দখিনা হাওয়া


কোনো জেলা সম্পর্কে সাধারণ তথ্য পাওয়া একটি কঠিন কাজ। সরকারি পর্যায়েও আছে বেড়াজাল। ছোট কোনো তথ্যের জন্যও ধরনা দিতে হবে বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগে। আবার লাইব্রেরিতে গিয়ে পুস্তক-সাময়িকী ঘাঁটাঘাঁটিতে অনেক ঝক্কি। উপরন্তু বাজারের বইপত্রের তথ্য কতখানি নির্ভরযোগ্য, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। তবে এই অচলায়তনে দখিনা হাওয়া হয়ে আসে ওয়েবসাইট। ‘বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ www.bdgovportal.com বিভিন্ন জেলার ছোট-বড় নানা তথ্য নিয়ে ছড়িয়ে আছে বিশ্বময়। ইন্টারনেটের সহায়তায় সাইটে ঢুকলেই সব তথ্য চলে আসে হাতের নাগালে।

একুশের গৌরবের পথচলায় সরকারি উদ্যোগে উন্মুক্ত হয়েছে তথ্যের এই খিড়কি দুয়ার। খোদ বাংলাদেশ সরকার এসব তথ্যের জোগানদাতা বলে গবেষণা ও লেখাপড়ায় নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যায় এই ওয়েবসাইটের তথ্যসূত্র। কম দামি স্মার্টফোন থেকেও এই সাইটটি ব্রাউজ করা যায়।


জানা যায়, বছর সাতেক আগে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় নেওয়া হয় ‘একসেস টু ইনফরমেশন’ বা এটুআই প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয় ২০০৬-২০১১ সালে। এটুআই প্রকল্পে বাংলা বর্ণ সংকেতায়ন বা বাংলা হরফে ইউনিকোডে নির্মাণ করা হয় bdgovportal.com। নির্মাণে অনেক ত্রুটি থাকলেও সাইটটি অনেকের জন্যই অতি প্রয়োজনীয়। নেভিগেশন কি বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে কাক্সিক্ষত বিভাগ, মন্ত্রণালয় ও জেলা তথ্য বাতায়ন থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া সম্ভব। একেকটি বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভাগ। এ কারণে সমন্বিত এই উদ্যোগটি অনেক সুশৃঙ্খল। আবার কাক্সিক্ষত জেলার নাম ইংরেজিতে লিখে তার পাশে ডটগভ ডটবিডি লিখলেই ব্যবহারকারী সরাসরি প্রবেশ করতে পারেন সংশ্লিষ্ট জেলা তথ্য বাতায়নে [যেমন, dhaka.gov.bd।

Thursday, February 6, 2014

একুশের সংবাদ: আমাদের বিশ্বকোষ


শিক্ষা-দীক্ষা বা গবেষণায় মাতৃভাষায় জ্ঞানচর্চার বিকল্প নেই। অমর একুশের গৌরবের অগ্রযাত্রায় এখন হাতের নাগালে ইন্টারনেটভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ বাংলা উইকিপিডিয়া [http://bn.wikipedia.org/, সংক্ষেপে বাংলা উইকি। বছর কয়েক আগেও যেখানে শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রয়োজনীয় বিষয়ে জ্ঞানচর্চার জন্য কিনতে হতো বিদেশি ভাষার দামি বিশ্বকোষ অথবা ধরনা দিতে হতো বিভিন্ন লাইব্রেরিতে, এখন সেখানে যে কেউ কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের বোতাম টিপেই বিনা মূল্যে পেতে পারেন নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ছবি। প্রয়োজনমতো তথ্য ও ছবি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ এবং প্রিন্ট আউটও নেওয়া যায়। কিছুদিন আগে বাংলা উইকির মোবাইল ভার্সন [http://bn.wikipedia.org/] চালু হওয়ায় কমদামি মোবাইল ফোনেও এটি এখন সহজলভ্য। 

বলা ভালো, উইকির মতো বাংলা উইকিও পরিচালিত হচ্ছে সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাশ্রমে। সাইটটি সমৃদ্ধ করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষী অসংখ্য উইকিপিডিয়ান। এরই মধ্যে বাংলা উইকি পূর্ণ করতে চলেছে অর্জনের এক দশক। সমগ্র উইকিপিডিয়ায় যুক্ত হওয়া বিশ্বের ২৮৫টি ভাষার মধ্যে এভাবেই বাংলার এখন দাপুটে পদচারণ।

Wednesday, February 5, 2014

একুশের সংবাদ: ই-বুকে স্বচ্ছন্দ পথচলা



ছাপাখানা আবিষ্কার হয়েছিল ৬০০ বছর আগে। সেই থেকে বইয়ের দাপুটে পথচলা। এরই ধারাবাহিকতায় বইয়ের জগতে বড় বিপ্লবটি ঘটিয়েছে ইলেকট্রনিক-বই বা ই-বুক। তবে তা গতানুগতিক মলাট বাঁধাই নয়। অনলাইনে পাঠক তার কাক্সিক্ষত বইটি সহজেই পড়ে নিতে পারে কম্পিউটারের পর্দায় চোখ রেখে। ডাউনলোড করে প্রিন্টও নিতে পারে। এ জন্য দোকানে গিয়ে বই কেনার বা গ্রন্থাগারে গিয়ে বই ধার করার ঝক্কি-ঝামেলা নেই। প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় কম্পিউটারে ই-বুক পড়া যেমন যায়, তেমনি ই-বুক পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা ই-বুক রিডার। গত কয়েক বছরে স্মার্ট ফোন থেকেও সহজলভ্য হয়েছে ই-বুক পাঠ। মোবাইল ফোনেই আজকাল কয়েক হাজার ই-বুক রাখা যায়।

বছর দশেক ধরে অন্যান্য ভাষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলা ভাষাতেও তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ই-বুক। বিনা মূল্যে ই-বুক পাঠের সুবিধার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সাইটে বাংলা ভাষার ই-বুক অনলাইনে বিক্রিও হচ্ছে। ই-বুকের কল্যাণে ক্রমেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বাংলা ভাষাভাষীর পাঠচর্চা। বাংলা পেয়েছে নতুন মাত্রা। বাংলাদেশ সরকার স্কুল-কলেজের প্রায় সব পাঠ্য বইকে ই-বুক আকারে প্রকাশ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এসব বইপত্র বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়। সে সুবাদে শিক্ষার্থীরা আজকাল কম্পিউটার, ল্যাপটপ এমনকি মোবাইল ফোনেই তাদের পাঠ্য বই পড়তে পারছে। এটা নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী অগ্রগতি।

Monday, February 3, 2014

একুশের সংবাদ: বাংলার গৌরব ব্লগ, ব্লগাজিন ই-ম্যাগে



যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগ গণবিস্ফোরণের পর ‘ব্লগ’, ‘ফেসবুক’, মাইক্রো ব্লগ ‘টুইটার’ ইত্যাদি এখন খুব পরিচিত শব্দ। এর মধ্যে ‘ব্লগ’ কথাটিই সবচেয়ে এগিয়ে। মতান্তরে, সামাজিক গণযোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকও একটি বড় মাপের ব্লগ। আরব বসন্তের পর প্রজন্ম শাহবাগ আরেকবার বিশ্ববাসীকে জানান দিয়ে গেছে ব্লগের অন্তর্নিহিত শক্তি তথা প্রযুক্তির উৎকর্ষে বাংলা ব্লগের অমিত সম্ভাবনা। আন্তর্জাতিক বর্ণ সংকেতায়ন বা ইউনিকোডে বাংলা ভাষা যুক্ত হওয়ার পর এই ভাষায় ওয়েবসাইট নির্মাণের পাশাপাশি এখন দ্রুত ভাষার গৌরব ছড়িয়ে পড়েছে ব্লগ, ব্লগাজিন ও ইলেকট্রনিক-ম্যাগাজিন বা ই-ম্যাগে।

ব্লগ, ব্লগাজিন ও অনলাইনপত্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা এই যে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই যখন তখন মোবাইল ফোন, নোট প্যাড, নোটবুক, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপ কম্পিউটার টিপে এসব ওয়েবসাইটে লেখা পড়া যায়। এ জন্য দোকানে গিয়ে পত্র-পত্রিকা কেনার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি যে কেউই সেখানে লিখে ফেলতে পারে পছন্দসই লেখা। এ জন্য পেশাদার লেখক হওয়ারও প্রয়োজন নেই। প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে এসব মাধ্যমের আরেকটি বড় পার্থক্য হচ্ছে, বিকল্প এই গণযোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কোনো লেখা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় লেখাটির নিচে মন্তব্যের ঘরে। সেখানেও চলে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, প্রশংসা, এমনকি নিন্দাও। আবার একটি লেখার বিতর্ক জন্ম দেয় আরো অনেক চিন্তাশীল লেখারও।