০১। সাবেক গেরিলা নেতা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা ১৯৯৯ সালের মধ্যভাগে রাঙামাটিতে আঞ্চলিক পরিষদের জমকালো অভিষেক অনুষ্ঠানে যে বক্তব্যটি দিয়েছিলেন, তাতে তিনি স্পষ্টই অভিযোগ করেছিলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের (১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর) আগে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন দাবানল’ চলছিল। শান্তিচুক্তির পর সেখানে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন উত্তরণ’। প্রশাসন, উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ সর্বত্র সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের ওপর কর্তৃত্ব করে চলেছে। এটি আসলে পরোক্ষ সেনাশাসন। সন্তু লারমা তাঁর ভাষণে প্রশ্ন রাখেন, কোথায় আজ কল্পনা চাকমা? তাঁকে কেন নিখোঁজ হতে হলো?
সে সময় আমি দৈনিক ভোরের কাগজের খুদে রিপোর্টার হিসেবে জনাকীর্ণ ওই আয়োজনের তথ্য-সংবাদ সংগ্রহের জন্য রাঙামাটির অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলাম। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের বাঘা সাংবাদিকরা তো বটেই, এমনকি বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তিবাহিনীর প্রায় দুই হাজার গেরিলা ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে অস্ত্র সমর্পণ শুরু করে। চার দফায় অস্র-শস্ত্র জমা দেওয়ার পর বিলুপ্তি ঘটে গেরিলা গ্রুপটির। একই সঙ্গে অবসান ঘটে পাহাড়ে তিন দশক ধরে চলে আসা সেনাবাহিনীর সঙ্গে শান্তিবাহিনীর রক্তক্ষয়ী বন্দুকযুদ্ধ। তার পরও শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের এক বছরের মাথায় আঞ্চলিক পরিষদের ওই অভিষেক অনুষ্ঠানে সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সন্তু লারমার অভিযোগগুলো আমাকে ভাবায়। ঢাকা অফিসে পাঠানো খবরটি পরদিন সন্তু লারমার বক্তব্যসহ ‘আঞ্চলিক পরিষদের যাত্রা শুরু’ এমন শিরোনামে অধিকাংশ দৈনিক পত্রিকা ব্যানার হেডলাইনে প্রকাশ করে। কল্পনা চাকমাকে নিয়ে দেওয়া সন্তু লারমার বক্তব্যটি আমি একটি আলাদা সংবাদ করে ঢাকা অফিসে পাঠিয়েছিলাম। সেটিও প্রথম পাতায় বক্স আইটেম হিসেবে গুরুত্বসহ প্রকাশিত হয়।
০২। এর কিছুদিন পর পার্বত্য পরিস্থিতির ওপর ধারাবাহিক সরেজমিন প্রতিবেদন করার জন্য আবারও আমি রাঙামাটি যাই। অন্যান্য প্রতিবেদন করার পাশাপাশি আঞ্চলিক পরিষদের বাসভবনে সন্তু লারমার একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার নিই। সেটি ছিল আমার নেওয়া সন্তু লারমার দ্বিতীয়তম সাক্ষাৎকার। তাঁর প্রথম সাক্ষাৎকারটি নেওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ৫ মে খাগড়াছড়ির দুর্গম দুদুকছড়িতে শান্তিবাহিনীর হাইডআউটে। পাহাড় তখন যুদ্ধ-বিক্ষুব্ধ। গেরিলা নেতা হিসেবে কোনো গণমাধ্যমে দেওয়া সন্তু লারমার সেটিই ছিল প্রথম সাক্ষাৎকার।
যা-ই হোক, রাঙামাটির আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারপর্ব শেষে সেদিন আমি তাঁকে একটু সাহসের সঙ্গেই জিজ্ঞাসা করে ফেলি, আচ্ছা লিডার, আপনি কেন আঞ্চলিক পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে সরাসরি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অমন অভিযোগ করে বসলেন? তিনি মুচকি হেসে বললেন, আপনি তো সাংবাদিক। আমার অভিযোগটি সত্যি কি না, তা একটু খোঁজ করে দেখুন না! তবু আমার কাছে বিষয়টি অস্পষ্টই থেকে যায়। আমি স্বীকার করে বলি, সরি লিডার, বিষয়টি এখনো আমার কাছে পরিষ্কার নয়।
সন্তু লারমা বলেন, দেখুন, এখানে এখন হরতাল চলছে (স্থানীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা কী নিয়ে যেন তখন রাঙামাটিতে হরতাল ডেকেছিলেন)। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে হরতাল ডাকা হলে পুলিশ বাহিনীই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, আমাদের এখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে, পুলিশ নয় কেন?
আমি মাথা নেড়ে ইতিবাচক সম্মতি দিলে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এ রকমভাবে পাহাড়ে যে আইনশৃঙ্খলার ওপর কর্তৃত্ব করছে, তা কি তারা বৈধভাবে করছে, না অবৈধ পন্থায় করছে, আপনি খোঁজ-খবর করে দেখুন না! কোনো রিপোর্টারের জন্য এটুকু ইঙ্গিতই যথেষ্ট। আমি টের পাই, বিষয়টি নিয়ে ভালো করে অনুসন্ধান চালালে তা একটি ব্রেকিং নিউজ হতে পারে।
০৩। পরে ঢাকায় ফিরে এ ব্যাপারে খোঁজ নিই সদ্যগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন নামে ছোট্ট একটি বিভাগকে তখন সদ্য মন্ত্রণালয়ে পরিণত করা হয়েছে। নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অনেক নতুন কর্মকর্তাকে। আমি খুঁজে বের করি পুরনো এক কর্মকর্তাকে, তিনি তখন উপসচিব পদে কর্মরত।
তিনি আমাকে জানান, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের আমল থেকে শুরু করে এরশাদ সরকারের আমল পর্যন্ত ‘পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিদ্রোহ উপদ্রুত অঞ্চল’ ঘোষণা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অন্তত চারটি ইন্সার্জেন্সি অর্ডার জারি করে। এই চারটি আদেশ বলে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা, উন্নয়ন, প্রশাসনসহ বেসামরিক সবকিছুর ওপরে সেনাবাহিনী কর্তৃত্ব করছে। এমনকি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের এক বছর পরেও ওই চারটি আদেশ প্রত্যাহার করা হয়নি।
বিষয়টি আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সব আদেশের অনুলিপি (যা সে সময় স্পেশাল অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছিল) খুঁজি। কিন্তু নথিপত্রগুলো অনেক পুরনো হওয়ায় দিনের পর দিন এখানে-সেখানে খুঁজেও আমি এর ফটোকপি পাই না। তখনো অফিস-আদালতের দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড কম্পিউটারাইজড না হওয়ায় এমন পুরনো কোনো কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া ছিল সত্যিই খুব কঠিন।
শেষে পুরনো ওই নথিপত্রের সন্ধান করি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সেখানে এক যুগ্ম সচিব আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। তিনিও আমাকে বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয়ে এত পুরনো নথি পাওয়া মুশকিল। তবে তিনি চেষ্টা করবেন।
এরপর দিনের পর দিন সেখানে ধরনা দিই। একদিন ওই যুগ্ম সচিব আমাকে গোপনে তাঁর কক্ষে নিয়ে দুটি ফ্যাক্স কপি দেন। আমি চমকে উঠি, এই সেই ইন্সার্জেন্সি অর্ডার! তিনি সেগুলো প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আবারও সংগ্রহ করেছেন। ওই দুটি নথিতে আরো দুটি একই রকম আদেশের কথা উল্লেখ করে স্মারক নম্বর দেওয়া ছিল। অর্থাৎ আমার হাতে তখন চারটি গোপন আদেশের নথি-প্রমাণ।
যুগ্ম সচিবও আমাকে নিশ্চিত করেন, এই আদেশগুলো তখনো প্রত্যাহার করা হয়নি। অর্থাৎ আমি সন্তু লারমার অভিযোগের আইনগত বাস্তবভিত্তি খুঁজে পাই। এর মানে এই যে শান্তিচুক্তির এক বছর পরও পাহাড়ে ইন্সার্জেন্সি অর্ডার চলছে। সেটি তখনো ইন্সার্জেন্সি এরিয়া (গেরিলা বিদ্রোহ অধ্যুষিত অঞ্চল)। এ কারণেই সেখানে সেনাবাহিনী আইন-শৃঙ্খলাসহ অন্য সব বিষয়ে বেসামরিক প্রশাসনের ওপর কর্তৃত্ব করছে।
কিন্তু তখনো আমার অনুসন্ধান শেষ হয়নি। আমি সেনা অপারেশন সম্পর্কে জানার জন্য দ্বারস্থ হই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মাদ ইবরাহিমের বনানীর দপ্তরে। তিনি তখন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিশ্লেষক তথা সামরিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেছেন। আমার জানা ছিল, চাকরির সুবাদে পাহাড়ে তিনি ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন অবস্থান করেছেন। আমি তাঁকে আমার প্রাপ্ত তথ্যগুলো জানাই।
জেনারেল ইবরাহিম সে সময় আন্তরিকভাবেই বলেছিলেন, শান্তিচুক্তি যখন হয়েছে, শান্তিবাহিনী যখন অস্ত্র সমর্পণও করেছে, তখন সরকারের উচিত হবে তাদের পক্ষ থেকে কথা রাখা। অর্থাৎ চুক্তিটি মেনে ওই ইন্সার্জেন্সি অর্ডারগুলো বাতিল করা, পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে আনা সরকারের কর্তব্য হবে। আমি তাঁর কাছ থেকে সেনাবাহিনীর অপারেশন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত একটি ব্রিফিংও পাই।
০ ৪। এরপর সরকারি কর্তাদের মন্তব্য নেওয়ার পালা। আমি তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে তাঁর দপ্তরে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করি। কিন্তু বরাবরই তিনি সাংবাদিক পরিবেষ্টিত দেখে একদিন ধরনা দিই তাঁর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে। সেখানে তদবিরকারীদের ভিড় গলিয়ে অনেক কষ্টে তাঁকে মিনিট দুই-একের জন্য একা পাই। আমি রিপোর্টটির বিষয়ে তাঁর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তো সরকারবিরোধী সংবাদ। আপনাকে এই খবর লিখতে হবে না। যান, এটিই আমার মন্তব্য!
আমি তাঁর আচরণে খানিকটা আহত হলেও দমে যাইনি। দিনের পর দিন ধরনা দিতে থাকি তখনকার স্বরাষ্ট্রসচিব সফিউর রহমানের দপ্তরে। দক্ষ ও সৎ কর্মকর্তা হিসেবে তখন তাঁর যথেষ্ট সুনাম। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে টেলিফোনে বা অফিসে কোথাও তাঁর সাক্ষাৎ পাই না। তিনি সন্ধ্যা ৭-৮টা পর্যন্ত অফিস করতেন।
একদিন দুপুরে তাঁর দপ্তরে গিয়ে ভিজিটিং কার্ড পাঠিয়ে সচিবের একান্ত সচিবের কক্ষে বসে থাকি। সচিবের কক্ষে এই মিটিং, সেই মিটিং, অমুক-তমুকের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলতে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়। কিন্তু আমার ডাক আর আসে না। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাঁর ব্যক্তিগত অফিস পিয়ন আমাকে জানান, সচিব মহোদয় এখনই অফিস থেকে বেরোবেন। আমি চট করে আরেকটি ভিজিটিং কার্ড, নোট বুক ও কলম বাগিয়ে লিফটের সামনে অবস্থান নিই। মুক্তিযোদ্ধা সচিব সফিউর রহমান গটাগট হেঁটে লিফটের সামনে আসেন, আমি তাঁকে সালাম দিয়ে ভিজিটিং কার্ডটি ধরিয়ে দিই। তিনি সামান্য হেসে সিলেটি উচ্চারণে বলেন, ‘ভুরের কাগজ তো ভুরে ফড়ি, ভুরের কাগজ আবার সন্ধ্যায় কেন?’ ততক্ষণে লিফটের দরজা খুলে গেছে। সচিবের পেছন পেছন আমিও লিফটে উঠে পড়ি। বলি আমার প্রাপ্ত তথ্যগুলো। তাঁর কাছে একটি বিনীত মন্তব্য প্রার্থনা করি। তিনি বলতে থাকেন, আমি খসখস করে নোট নিতে থাকি।
সফিউর রহমান বলেন, ‘আপনি হয়তো জানেন, শান্তিচুক্তির আগে সেনাবাহিনীর কর্তারা পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান হতেন। কিন্তু শান্তিচুক্তির পর এই প্রথম সরকারের পক্ষ থেকে আমরা একজন নির্বাচিত এমপিকে (বীর বাহাদুর) ওই পদে বসিয়েছি। আঞ্চলিক পরিষদ হয়েছে। জেলা পরিষদ পুনর্গঠন হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয় হয়েছে। এর মানে এই যে আমরা বেসামরিক প্রশাসনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করছি। পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলাও ধীরে ধীরে বেসামরিক বাহিনীর কাছে ন্যস্ত করা হবে।’ অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রসচিব সফিউর রহমান পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের এক বছর পরও পাহাড়ে ইন্সার্জেন্সি অর্ডার চলছে। সেটি তখনো ইন্সার্জেন্সি এরিয়া। লিফট নিচে নেমে এলে সচিব মহোদয় গাড়িতে উঠে পড়েন।
০৫। আমি ফোনে আমার বার্তা সম্পাদক অমিত হাবিবকে সংবাদটি জানিয়ে দিই। তিনি দ্রুত আমাকে অফিসে এসে সংবাদটি লিখে দিতে বলেন। অন্যদিন হলে আমি প্রেসক্লাব থেকে লোকাল বাস ধরে বাংলামোটরের অফিসে যেতাম। কিন্তু সেদিন আমি সময় নষ্ট না করে একটি অটোরিকশা নিয়ে অফিসে রওনা হই। পথে মনে মনে নিউজটি কিভাবে লিখব, তা সাজাতে থাকি। সৌভাগ্যক্রমে সেদিন তেমন কোনো যানজটেও আমাকে পড়তে হয়নি।
অফিসে এসে এক টানে সংবাদটি লিখে প্রধান প্রতিবেদকের কাছে জমা দিই। অমিতদা তাঁকে নিউজটির বিষয়ে আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন। ওই সংবাদে আমি সন্তু লারমা, জেনারেল ইবরাহিম ও স্বরাষ্ট্রসচিব সফিউর রহমানের মন্তব্য ব্যবহার করি। পরদিন ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এখনো বিদ্রোহ-অধ্যুষিত অঞ্চল!’ শিরোনামে লিড নিউজ আকারে খবরটি প্রকাশিত হয়। সার্থক হয় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য আমার প্রায় এক মাসের অক্লান্ত শ্রম।
__
ছবি: ০১. কল্পনা চাকমা, ফাইল ফটো, গেরিলা নেতা সন্তু লারমার হাইড আউটে, খাগড়াছড়ির দুদুকছড়ি, ৫ মে, ১৯৯৪, লেখক, ০২. গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণ, সন্তু লারমা প্রথম অস্ত্রটি জমা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, ১০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৮, ফাইল ছবি, ০৩. বাঘাইছড়ির সহিংসতার পর পোড়া ভিটায় সতর্ক সেনা প্রহরা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০, দৈনিক কালের কণ্ঠ, ০৪. বাঘাইছড়িতে সেনা বাহিনীর গুলিতে নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ, ১০ মার্চ, ২০১০, লেখক।
No comments:
Post a Comment