একক বা গণধর্ষন এখন ভূমি দস্যুদের আদিবাসী নিপীড়নের হাতিয়ার। গ্রামের পর
গ্রাম জ্বালিয়ে, মারপিট করে, খুন ও ধর্ষন সন্ত্রাস ছড়িয়ে একের পর এক
আদিবাসী জনপদ উজাড় করা হচ্ছে। পাহাড় বা সমতলে সর্বত্র এখন ভয়াবহ আকার
নিয়েছে নিপীড়নের এই দানব। মধুপুরের স্মৃতি রিছিল থেকে খাগড়াছড়ির সাবিতা
চাকমা। গিদিতা রেমা থেকে সুজাতা চাকমা। ...১৮ বছর আগে পোষাক ধারী
সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে গেল বাঘাইছড়ির নারী নেত্রী কল্পনা
চাকমাকে। আর সেদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরেক উঁরাও নেত্রী দিনে-দুপুরে ধান
ক্ষেতের ভেতর হলেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার।
কল্পনা চাকমা আদিবাসী নিড়ীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বলেই তাকে গুম হতে হয়েছে। আর উঁরাও নেত্রী ছিলেন আদিবাসীর জমির লড়াইয়ে অগ্রগামী। দুবছরের সন্তানকে গামছা দিয়ে পিঠে বেধেঁ উঁরা, সান্তাল, মুণ্ডা, মাহাতোদের নিয়ে উত্তরবঙ্গে করেছিলেন ৬৫ কিলোমাটার লং মার্চ। এরই 'অপরাধে' সম্ভ্রম হারিয়ে এখনো হাসপাতালে ধুঁকতে হচ্ছে তাকে। ...
এতো সব পাপ, এতো সব ফৌজদারী অপরাধ-- কই, একটি ঘটনারও তো সুষ্ঠু বিচার হলো না? আর যারা মানবাধিকার রক্ষার কথা বলছেন, আদিবাসী বান্ধব বলে টক শো, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে যেসব ব্যারিস্টার, উকিল, মোক্তার, এনজিও কর্তাগণ অহরাত্র মুখে ফেনা তুলছেন, তারাই বা করছেনটা কি? তারা কি চলেশ রিছিল হত্যা মামলা চালানোর দায় নিয়েছেন? অথবা জমির লড়াইয়ে খুন হওয়া আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলার? সবিতা, সুজাতা, তুমাচিং খুন ও ধর্ষন বা কল্পনা অপহরণ মামলাটিকেই তারা চালাচ্ছেন না কেন? ১৮ বছর ধরে কল্পনা অপহরণ মামলাটিই বা কেন এখনো ঝুলছে রাঙামাটি আদালতে? আদিবাসী উদ্ধার কর্তারা একজনও কি মামলাটিকে উচ্চ আদালতে নিয়ে আসতে পারলেন না? উঁরাও নেত্রী গণধর্ষনের মামলার দায় কেন তারা নিচ্ছেন না? নাকি দাতা গোষ্ঠির অর্থে 'ইটিং-মিটিং-শিটিং' এর বাইরে এসব আইনী লড়াইয়ে সায় নেই?
আর কতোকাল চলবে এইসব নিপীড়ন-সন্ত্রাস? আর কতোকাল আদিবাসীরা সবকিছু হারিয়ে একের পর এক দেশান্তরী হবেন? আর কতোকাল আদিবাসী-ব্যপারীরা উন্নয়নের লেবেলে আন্দোলনের ভড়ং দেখিয়ে করবেন 'আত্ন-উন্নয়ন'?
সব অন্যায় আর ভন্তামীর বিরুদ্ধে এবার ক্ষেপেছে উত্তেরর আদিবাসী জনপদ। হাজার হাজার কালো মানুষ শান দিয়েছেন তীরের ফলায়। আদিবাসী নেত্রী ধর্ষনের প্রতিবাদে, ভূমি দস্যুদের দ্রুত গ্রেফতার, বিচার এবং সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের দাবিতে আগামী ২৭ আগস্ট বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণপদযাত্রা। সমতলের আদিবাসীর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জাতীয় আদিবাসী পরিষদ এর উদ্যোক্তা। ওই দিন সকাল ৯ টায় গোমস্থাপুরের আড্ডা মোড় থেকে গণপদযাত্রা শুরু হয়ে ধানসুড়া-নাচোল-আমনুরা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বরে এসে মহা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
[দেখুন: webcal://www.facebook.com/ical/ u.php?uid=595653164&key=AQB C9gkCAx1grbI7]
মার খেতে খেতে আদিবাসীরা বুঝে গেছেন, আদিবাসী রক্ষার একক লড়াই শুধু আদিবাসীরই। শুভবুদ্ধির বাঙালিরা তাদের সহযাত্রী মাত্র। এর বেশী কিছু নয়। আর সিঁধু, কানহু, বীরসা মুণ্ডা, কুমুদীনি হাজং, আলফ্রেড সরেন, চলেশ রিছিল, এমএন লারমা, কল্পনা চাকমা প্রদর্শিত দীর্ঘতর রক্তাক্ত পথই আদিবাসীর মুক্তির প্রকৃত পথ।
জয় হোক- আদিবাসীর সংগ্রাম!
কল্পনা চাকমা আদিবাসী নিড়ীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বলেই তাকে গুম হতে হয়েছে। আর উঁরাও নেত্রী ছিলেন আদিবাসীর জমির লড়াইয়ে অগ্রগামী। দুবছরের সন্তানকে গামছা দিয়ে পিঠে বেধেঁ উঁরা, সান্তাল, মুণ্ডা, মাহাতোদের নিয়ে উত্তরবঙ্গে করেছিলেন ৬৫ কিলোমাটার লং মার্চ। এরই 'অপরাধে' সম্ভ্রম হারিয়ে এখনো হাসপাতালে ধুঁকতে হচ্ছে তাকে। ...
এতো সব পাপ, এতো সব ফৌজদারী অপরাধ-- কই, একটি ঘটনারও তো সুষ্ঠু বিচার হলো না? আর যারা মানবাধিকার রক্ষার কথা বলছেন, আদিবাসী বান্ধব বলে টক শো, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে যেসব ব্যারিস্টার, উকিল, মোক্তার, এনজিও কর্তাগণ অহরাত্র মুখে ফেনা তুলছেন, তারাই বা করছেনটা কি? তারা কি চলেশ রিছিল হত্যা মামলা চালানোর দায় নিয়েছেন? অথবা জমির লড়াইয়ে খুন হওয়া আলফ্রেড সরেন হত্যা মামলার? সবিতা, সুজাতা, তুমাচিং খুন ও ধর্ষন বা কল্পনা অপহরণ মামলাটিকেই তারা চালাচ্ছেন না কেন? ১৮ বছর ধরে কল্পনা অপহরণ মামলাটিই বা কেন এখনো ঝুলছে রাঙামাটি আদালতে? আদিবাসী উদ্ধার কর্তারা একজনও কি মামলাটিকে উচ্চ আদালতে নিয়ে আসতে পারলেন না? উঁরাও নেত্রী গণধর্ষনের মামলার দায় কেন তারা নিচ্ছেন না? নাকি দাতা গোষ্ঠির অর্থে 'ইটিং-মিটিং-শিটিং' এর বাইরে এসব আইনী লড়াইয়ে সায় নেই?
আর কতোকাল চলবে এইসব নিপীড়ন-সন্ত্রাস? আর কতোকাল আদিবাসীরা সবকিছু হারিয়ে একের পর এক দেশান্তরী হবেন? আর কতোকাল আদিবাসী-ব্যপারীরা উন্নয়নের লেবেলে আন্দোলনের ভড়ং দেখিয়ে করবেন 'আত্ন-উন্নয়ন'?
সব অন্যায় আর ভন্তামীর বিরুদ্ধে এবার ক্ষেপেছে উত্তেরর আদিবাসী জনপদ। হাজার হাজার কালো মানুষ শান দিয়েছেন তীরের ফলায়। আদিবাসী নেত্রী ধর্ষনের প্রতিবাদে, ভূমি দস্যুদের দ্রুত গ্রেফতার, বিচার এবং সমতল আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠনের দাবিতে আগামী ২৭ আগস্ট বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণপদযাত্রা। সমতলের আদিবাসীর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর জাতীয় আদিবাসী পরিষদ এর উদ্যোক্তা। ওই দিন সকাল ৯ টায় গোমস্থাপুরের আড্ডা মোড় থেকে গণপদযাত্রা শুরু হয়ে ধানসুড়া-নাচোল-আমনুরা দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্ত্বরে এসে মহা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
[দেখুন: webcal://www.facebook.com/ical/
মার খেতে খেতে আদিবাসীরা বুঝে গেছেন, আদিবাসী রক্ষার একক লড়াই শুধু আদিবাসীরই। শুভবুদ্ধির বাঙালিরা তাদের সহযাত্রী মাত্র। এর বেশী কিছু নয়। আর সিঁধু, কানহু, বীরসা মুণ্ডা, কুমুদীনি হাজং, আলফ্রেড সরেন, চলেশ রিছিল, এমএন লারমা, কল্পনা চাকমা প্রদর্শিত দীর্ঘতর রক্তাক্ত পথই আদিবাসীর মুক্তির প্রকৃত পথ।
জয় হোক- আদিবাসীর সংগ্রাম!
No comments:
Post a Comment