একক বা গণধর্ষন এখন ভূমি দস্যুদের আদিবাসী নিপীড়নের হাতিয়ার। গ্রামের পর
গ্রাম জ্বালিয়ে, মারপিট করে, খুন ও ধর্ষন সন্ত্রাস ছড়িয়ে একের পর এক
আদিবাসী জনপদ উজাড় করা হচ্ছে। পাহাড় বা সমতলে সর্বত্র এখন ভয়াবহ আকার
নিয়েছে নিপীড়নের এই দানব। মধুপুরের স্মৃতি রিছিল থেকে খাগড়াছড়ির সাবিতা
চাকমা। গিদিতা রেমা থেকে সুজাতা চাকমা। ...১৮ বছর আগে পোষাক ধারী
সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে গেল বাঘাইছড়ির নারী নেত্রী কল্পনা
চাকমাকে। আর সেদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আরেক উঁরাও নেত্রী দিনে-দুপুরে ধান
ক্ষেতের ভেতর হলেন আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার।
বিপ্লব রহমানের ভাবনার জগৎ। চাকমা ভাষায় ‘রাঙাবেল‘ কথাটির মানে ‘রাঙা প্রভাত‘। © কপিরাইট: লেখা ও ছবির স্বত্ত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
Sunday, August 24, 2014
ম্রো নারীর জীবিকার লড়াইয়ে তাঁত
বিপ্লব রহমান, থানচি (বান্দরবান) থেকে ফিরে:
পাহাড়ের ‘ম্রো’ জনগোষ্ঠীর মেয়েরা জুমচাষের পাশাপাশি এই প্রথমবারের মতো বেছে নিয়েছেন ঐহিত্যবাহী তাঁতশিল্পকে। দুর্গম পাহাড়ে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় জুমচাষের জমির সঙ্গে দিন দিন কমে আসছে ফসলের পরিমাণও। তাই বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে তাঁতশিল্পকে বেছে নেওয়ায় এখন ম্রোদের সংসারে এসেছে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য।
পাহাড়ের ‘ম্রো’ জনগোষ্ঠীর মেয়েরা জুমচাষের পাশাপাশি এই প্রথমবারের মতো বেছে নিয়েছেন ঐহিত্যবাহী তাঁতশিল্পকে। দুর্গম পাহাড়ে জনবসতি বেড়ে যাওয়ায় জুমচাষের জমির সঙ্গে দিন দিন কমে আসছে ফসলের পরিমাণও। তাই বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে তাঁতশিল্পকে বেছে নেওয়ায় এখন ম্রোদের সংসারে এসেছে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্য।
Saturday, August 9, 2014
চিম্বুকে কঠিন ম্রো জীবন
বিপ্লব রহমান, বান্দরবান থেকে ফিরে
চিম্বুকের পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমি অধিগ্রহণের ফলে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় ৭৫০টি ম্রো পরিবার হারিয়েছে অরণ্যঘেরা স্বাধীন জনপদ। ছবির মতো অনিন্দ্যসুন্দর পাহাড়ি গ্রাম, জুম চাষের (পাহাড়ের ঢালে বিশেষ চাষাবাদ) জমি, ঐতিহ্যবাহী শিকার- সব কিছুই আজ অতীত। হতদরিদ্র ম্রোরা সেই থেকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে বাস করছে চিম্বুক প্রধান সড়কের পাশে। এদেরই একাংশ ‘ক্রামাদি পাড়া’ নামক নতুন একটি বসতি গড়ে তুলেছে। কিন্তু জুম চাষের জমি কমে আসায় জীবন হয়েছে আরো কঠিন। কেউ বা পেশা বদল করে পরিণত হয়েছে দিনমজুরে। এত কিছুর পরও হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য নাচ-গানের সংস্কৃতি ধরে রাখারও চলছে প্রাণান্তকর চেষ্টা।
চিম্বুকের পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর ভূমি অধিগ্রহণের ফলে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় ৭৫০টি ম্রো পরিবার হারিয়েছে অরণ্যঘেরা স্বাধীন জনপদ। ছবির মতো অনিন্দ্যসুন্দর পাহাড়ি গ্রাম, জুম চাষের (পাহাড়ের ঢালে বিশেষ চাষাবাদ) জমি, ঐতিহ্যবাহী শিকার- সব কিছুই আজ অতীত। হতদরিদ্র ম্রোরা সেই থেকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে বাস করছে চিম্বুক প্রধান সড়কের পাশে। এদেরই একাংশ ‘ক্রামাদি পাড়া’ নামক নতুন একটি বসতি গড়ে তুলেছে। কিন্তু জুম চাষের জমি কমে আসায় জীবন হয়েছে আরো কঠিন। কেউ বা পেশা বদল করে পরিণত হয়েছে দিনমজুরে। এত কিছুর পরও হাজার বছরের প্রাচীন ঐতিহ্য নাচ-গানের সংস্কৃতি ধরে রাখারও চলছে প্রাণান্তকর চেষ্টা।
Subscribe to:
Posts (Atom)