বাংলা ব্লগের ভাষা ও দিকদর্শন’ শিরোনামের লেখাটি রচনার সময় মনে হয়েছে, ব্লগে অনেক সময়ই যে সব সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করা হয়, তা নতুন ব্লগার বা সাধারণের কাছে তেমন পরিচিত নয়। আবার সুধী সমাজে এ সব ব্লগীয় অপ-শব্দ অশ্লীল হওয়াটাও বিচিত্র নয়। এমন চিন্তা থেকে বাংলা ব্লগের অপ-শব্দসমূহ একত্র করার উদ্যোগ নিয়েছি।
বলা ভালো, এটি মোটেই কোনো গূঢ় গবেষণাকর্ম নয়। নিছকই ব্লগাড্ডা মাত্র। তবে এটি রীতিমত প্রাপ্তমনস্কদের জন্য লেখা। সকলের সহযোগিতা কাম্য। হ্যাপি ব্লগিং।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং পাহাড়ের ওপর ঝুঁকিপূর্ণভাবে গড়ে তোলা ঘিঞ্জি রোহিঙ্গা শিবিরটির নীচে দাঁড়াতেই বিশাল বস্তিটির বিশ্রী বোটকা গন্ধ নাকে এসে ধাক্কা দেয়। তথ্য-সাংবাদিকতার পেশাগত কাজে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির এবং ১৯৯৬-৯৭ সালে ত্রিপুরার পাহাড়ি শরনাথী শিবির একাধিকবার পরিদর্শন করা গেছে। কিন্তু ‘আন-রেজিস্ট্রার্ড রোহিঙ্গা টাল’ নামক উখিয়ার এই বস্তিটির চরিত্রর সঙ্গে আগের অভিজ্ঞতার তেমন কোনো মিল নেই।
ওপারে মিয়ানমার থেকে এখানে এসে বছর তিনেক ধরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা কেউই শরনার্থীর মর্যাদা পাননি। সরকারি খাতাপত্রেও তাদের শরনার্থী হিসেবে নাম নেই। একই কারণে তাদের যেনো দুর্ভোগেরও কোনো শেষ নেই।
[জ্বলি ন’ উধিম কিত্তেই!/ যিয়ান পরানে কয় সিনে গরিবে/ বযত্তান বানেবে বিরানভূমি/ ঝারান বানেবে মরুভূমি/ গাভুর বেলরে সাঝ/ সরয মিলেরে ভাচ।...ভাবানুবাদ: রুখে দাঁড়াবো না কেন!/ যা ইচ্ছা তাই করবে/ বসত বিরানভূমি/ নিবিড় অরণ্য মরুভূমি,/ সকালকে সন্ধ্যা/ ফলবতীকে বন্ধ্যা।...কবিতা চাকমা।]
যতবারই দূর পাহাড়ে যাই, ততবারই মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া পাহাড়ি মেয়ে কল্পনা চাকমার কথা। আজ থেকে ঠিক ১৪ বছর আগে, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন রাঙামাটির দুর্গম বাঘাইছড়ির নিউ লাইল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপিত হন তিনি। কল্পনা চাকমা ছিলেন হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদিকা। …