Tuesday, November 27, 2012

আর কতোকাল?


বাতাসে পোড়া লাশের গন্ধ। স্কুলের বারান্দায় সারিবদ্ধ প্রায় একশ মরদেহ সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছেন, ক্ষুদ্র আকৃতির হয়ে গেছেন একেকজন শ্রমিক। স্বজনরা তারপরও প্রিয় মুখটি চেনার চেষ্টায় মরিয়া। মন শক্ত করে, নাক-মুখ চেপে একেকটি ব্যাগের চেইন সরিয়ে উঁকি দিচ্ছেন তারা। রাতভর কান্না, আহাজারি, বুক ফাটা আর্তনাদের পর অনেকের চোখেই আর পানিও নেই। শুধু বোবা কান্নার শব্দ, তীব্র বেদনায় দৃষ্টি যেন ভাষাহীন।
 

গত রবিবার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে। আগের দিনই [শনিবার, ২৪ নভেম্বর] পাশের তাজরিন ফ্যাশন গার্মেন্টে জীবন্ত পুড়ে ছাই হয়েছে শতাধিক শ্রমিক। নিহতদের অধিকাংশই নারী। ...

পবিত্র আশুরার ছুটি উপেক্ষা করে তথ্য-সাংবাদিকতার পেশাগত কারণে সকাল নয়টা নাগাদ পৌঁছানো গেছে ঘটনাস্থলে। একেবারে ঘটনাস্থল থেকে প্রত্যক্ষদর্শন না করলে সে বেদনার তীব্রতা বোঝা সত্যিই খুব দুস্কর। স্কুলের মাঠজুড়ে হাজারো শোকার্ত মানুষের ঢল।

Friday, November 23, 2012

রবীন্দ্র চিঠিতে আত্নকথন


[২০০৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসরে পাওয়া গেছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছয় পাতার একটি দীর্ঘ চিঠি। এটিই এ পর্যন্ত পাওয়া কবির সর্বশেষ অপ্রকাশিত পত্র। চিঠিতে তারিখ দেওয়া আছে, ১৩০৭ সালের ২৮ ভাদ্র। কিন্তু সুনির্দষ্টভাবে কারো নাম উল্লেখ করে চিঠিতে কাউকে সম্বোধন করা হয়নি। তাই কবি এই চিঠিটি কাকে লিখেছিলেন, তা এখন গবেষণার বিষয়। রবীন্দ্রনাথের এই অপ্রকাশিত চিঠিটি তাঁর পাচক পতিসরের কবিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে কবি তুলে ধরেছেন তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্মের কথা। নওগাঁর ছোটকাগজ 'অঞ্জলি লহ মোর' এর জানুয়ারি-জুন, ২০০৯ সংখ্যায় কবির চিঠিটির হাতের লেখার ইমেজ প্রকাশিত হয়। চলতি ব্লগপোস্টে প্রকাশিত কবির চিঠিটি সেখান থেকেই নেওয়া। বানানরীতিসহ চিঠির বয়ান অবিকল রাখা হয়েছে।]