‘এক আগুনে আম্মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের ৯ জনকে হারাইছি। আছিল শুধু আব্বা। সেও গত মাসে রোড অ্যাকসিডেন্টে মরছে। এখন পরিবারে একমাত্র আমিই বাঁইচা আছি। আগুনে আমার পিঠ, দুই হাত, মুখ পুড়ছে। ডান হাতটা অচল হইয়া গেছে। এখনো সারা শরীলে ফোসকা। চিকিৎসার জন্য ম্যালা টাকা দরকার। আমার হাতটা যদি অপারেশন কইরা ভালো করা যাইত, যদি আবার ইস্কুলে যাইতে পারতাম...!’ অশ্রুসজল চোখে কথাগুলো বলছিল ফারজানা আক্তার (১৫)।
বিপ্লব রহমানের ভাবনার জগৎ। চাকমা ভাষায় ‘রাঙাবেল‘ কথাটির মানে ‘রাঙা প্রভাত‘। © কপিরাইট: লেখা ও ছবির স্বত্ত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
▼
Saturday, October 18, 2014
জীবনযুদ্ধ:: তবু স্বপ্ন দেখে সর্ব-স্বজনহারা ফারজানা
‘এক আগুনে আম্মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের ৯ জনকে হারাইছি। আছিল শুধু আব্বা। সেও গত মাসে রোড অ্যাকসিডেন্টে মরছে। এখন পরিবারে একমাত্র আমিই বাঁইচা আছি। আগুনে আমার পিঠ, দুই হাত, মুখ পুড়ছে। ডান হাতটা অচল হইয়া গেছে। এখনো সারা শরীলে ফোসকা। চিকিৎসার জন্য ম্যালা টাকা দরকার। আমার হাতটা যদি অপারেশন কইরা ভালো করা যাইত, যদি আবার ইস্কুলে যাইতে পারতাম...!’ অশ্রুসজল চোখে কথাগুলো বলছিল ফারজানা আক্তার (১৫)।
Saturday, October 11, 2014
মোনঘর শিশু সদন:: পাহাড়ে শিক্ষার বাতিঘর
বিপ্লব রহমান, রাঙাপানি (রাঙামাটি) থেকে ফিরে: পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ঘাগড়ার দেবতাছড়ি গ্রামের কিশোরী সুমি তঞ্চঙ্গ্যা। দরিদ্র জুমচাষি মা-বাবার পঞ্চম সন্তান। অভাবের তাড়নায় অন্য ভাইবোনদের লেখাপড়া হয়নি। কিন্তু ব্যতিক্রম সুমি। লেখাপড়ায় তার প্রবল আগ্রহ। অগত্যা মা-বাবা তাকে বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছেন। কোনো রকমে মেয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডিটুকু পার করাতে পেরেছেন। কিন্তু এরপর? চটপটে পাহাড়ি মেয়েটি কালের কণ্ঠকে বলে, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার লেখাপড়া এখানেই শেষ। এ সময় আমরা শুনতে পাই মোনঘর শিশু সদনের কথা। সেখানে নাকি নামমাত্র বেতনে খুব ভালো লেখাপড়া হয়। এরপর আমি এই আবাসিক স্কুলে এসে ভর্তি হই। এখন এখানে আমি অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছি। মোনঘরের হাত ধরে আমি আরো অনেক দূর এগোতে চাই।’
Friday, October 3, 2014
আমার বন্ধু কালায়ন চাকমা
প্রথম যৌবন বেলায় রাঙামাটির নান্যাচরের মাওরুম গ্রামে গিয়েছি সমীরণ চাকমার বিয়েতে। সমীরণ দা পরে শান্তিচুক্তি বিরোধী ইউপিডিএফ’র সঙ্গে যুক্ত হন। সেই গ্রুপ ছেড়েছেন অনেকদিন আগে, কিছুদিন আগে মারা গেছেন তিনি।
এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা’র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম।
এরআগেও বহুবার চাকমাদের বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছি। কিন্তু ১৯৯৩ সালের শেষের দিকে, সমীরণ দা’র ওই বিয়েটি ছিলো খুবই জাঁক-জমকপূর্ণ। একদম আদি চাকমা সংস্কৃতির কোনো বিয়েতে অংশগ্রহণ সেই প্রথম।