রাঙাবেল: ই-বুক:: রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে...: রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে লেখক: বিপ্লব রহমান প্রচ্ছদ: আহমেদ অরূপ কামাল দাম: ৮০ টাকা প্রকাশক: পাঠসুত্র পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৫০
বিপ্লব রহমানের ভাবনার জগৎ। চাকমা ভাষায় ‘রাঙাবেল‘ কথাটির মানে ‘রাঙা প্রভাত‘। © কপিরাইট: লেখা ও ছবির স্বত্ত্ব লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
▼
Wednesday, December 18, 2013
Friday, December 13, 2013
16 Years of the CHT Peace Accord
by Biplob Rahman, translated by Professor Farida Khan
Without a resolution of the land conflict as outlined in the treaty, the establishment of peace and development in the Hills remains a pipe dream even after sixteen years of the signing of the Chittagong Hill Tracts Peace Accord. Although a Land Commission was created fourteen years ago, it has remained defunct and therefore the Hill Tracts problem has become increasingly complex over time. Because of the above mentioned land conflict, there has been increased suspicion and mistrust between Paharis and Bengalis, leading to a corresponding rise in violence between the two communities.
Without a resolution of the land conflict as outlined in the treaty, the establishment of peace and development in the Hills remains a pipe dream even after sixteen years of the signing of the Chittagong Hill Tracts Peace Accord. Although a Land Commission was created fourteen years ago, it has remained defunct and therefore the Hill Tracts problem has become increasingly complex over time. Because of the above mentioned land conflict, there has been increased suspicion and mistrust between Paharis and Bengalis, leading to a corresponding rise in violence between the two communities.
Sunday, December 8, 2013
বাংলাদেশে ম্যান্ডেলা
বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৯৯৭ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশে এসেছিলেন দণি আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট নেলসন মেন্ডেলা। সফরকালে ম্যান্ডেলা তার ঐতিহাসিক ভাষণে জানিয়েছিলেন, এদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের বন্ধু।
এটিই ছিল ম্যান্ডেলার এ দেশে প্রথম ও শেষ সফর। তিনি ছাড়াও ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরেল সে সময় বাংলাদেশে আসেন। ২৬ মার্চ সকালে শিখা চিরন্তনকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যান্ডেলাসহ তিন রাষ্ট্রপ্রধান হেলিকপ্টারে করে স্মৃতি সৌধে পৌঁছান। পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর নেলসন ম্যান্ডেলা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি বৃরোপন করেন।
এটিই ছিল ম্যান্ডেলার এ দেশে প্রথম ও শেষ সফর। তিনি ছাড়াও ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাত ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সুলেমান ডেমিরেল সে সময় বাংলাদেশে আসেন। ২৬ মার্চ সকালে শিখা চিরন্তনকে ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন তিনি। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ম্যান্ডেলাসহ তিন রাষ্ট্রপ্রধান হেলিকপ্টারে করে স্মৃতি সৌধে পৌঁছান। পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর নেলসন ম্যান্ডেলা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি বৃরোপন করেন।
Monday, December 2, 2013
পার্বত্য শান্তিচুক্তি: একটি পর্যালোচনা
Tuesday, November 26, 2013
রক্তের ধারা পেছনে যায় না
জেনারেল এরশাদ সরকার বিরোধী ছাত্র-গণআণ্দোলনের উত্তাল দিন। প্রতিদিনই ছাত্র মিছিলে পুলিশী হামলা হচ্ছে, গুলি হচ্ছে। ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে প্রতিদিনই ঝরছে রক্ত। এরকমই একটি দিন ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বরের সকাল সাড়ে ৯টা। স্থান মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার প্রবেশপথগুলোতে কড়া দাগা-পুলিশী প্রহরা। ঘোষিত ছাত্র-গণসমাবেশ যেন কিছুতেই সফল হতে না পারে, সে জন্য ঢাবি’র ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয়পত্র দেখে তবেই ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি মিলছে। বুয়েট, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, তেঁজগা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ পুরনো ঢাকার আরো অনেক কলেজ, সে সময়ের কৃষি কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ [এখন বিশ্ববিদ্যালয়]সহ আরো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একে একে বিশাল সব ছাত্র মিছিল সবদলীয় ছাত্র এক্য’র ব্যানারে ঢাবি ক্যাম্পাস মুখি হতে থাকে। মিছিলের সবার হাতে হাতে লাঠিশোটা।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার প্রবেশপথগুলোতে কড়া দাগা-পুলিশী প্রহরা। ঘোষিত ছাত্র-গণসমাবেশ যেন কিছুতেই সফল হতে না পারে, সে জন্য ঢাবি’র ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয়পত্র দেখে তবেই ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি মিলছে। বুয়েট, ইডেন কলেজ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, তেঁজগা কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, বদরুন্নেসা কলেজসহ পুরনো ঢাকার আরো অনেক কলেজ, সে সময়ের কৃষি কলেজ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ [এখন বিশ্ববিদ্যালয়]সহ আরো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একে একে বিশাল সব ছাত্র মিছিল সবদলীয় ছাত্র এক্য’র ব্যানারে ঢাবি ক্যাম্পাস মুখি হতে থাকে। মিছিলের সবার হাতে হাতে লাঠিশোটা।
Wednesday, October 23, 2013
অদিতি ফাল্গুনির বাম-বিকার-০১
Wednesday, October 2, 2013
Wednesday, September 18, 2013
বাংলা ব্লগের ওপর নয়া খড়্গ
আবারও খড়্গ নেমে এসেছে বিকল্প গণমাধ্যম বাংলা ব্লগের ওপর। দেশের শীর্ষ স্থানীয় ব্লগসাইট আমারব্লগ ডটকম জানাচ্ছে, গত ছয় মাসে অন্তত তিন দফায় তাদের ব্লগ সাইটটি বাংলাদেশে বন্ধ করা হয়েছে।
Friday, September 6, 2013
রুবেলের পাঠশালা
সার-সংক্ষেপ: বন্ধু গো, আজি তোমায়, বড়ো বেশী প্রয়োজন…
মাসে মাত্র হাজার ২০ টাকার যোগান দেওয়া গেলেই প্রান্তিক শিশুদের আলোর ইস্কুলটি দাঁড়িয়ে যায়। ব্যক্তি প্রতিষ্ঠার মোহ ছিন্ন করে রুবেলরা অনেক কষ্টে চালাচ্ছেন বিদ্যালয়টি। আশাপাশের আর ১০টা মধ্যবিত্তের বিদ্যালয়ের চেয়ে ‘স্কুল ড্রেস ও টিফিন বিহীন’ বস্তির ছেলেমেয়েদের বিদ্যানিকেতনটির ফলাফলও ভালো।
Thursday, August 22, 2013
মহাশ্বেতার সঙ্গে ইলিয়াসের সংলাপ: শালগিরার ডাকে
পূর্বকথা
০২. মহাশ্বেতা দেবী: ...মুন্ডাদের মধ্যে, আমি খেরিয়াদের মধ্যে যে ধরণের কাজ করি, সেরকম কাজ করার ছিল না। কিন্তু ওদের সংগঠিত করার ছিল। সেটা আমি সব সময় বিশ্বাস করি, ওরা নিজেরাই সংগঠিত হোক। মিনিমাম কতোগুলো কাজের ভিত্তিতে ওরা নিজেরাই সংগঠিত হোক। ওদেরকে পলিটিক্যাল ফোর্স বলে মনে করা হতো। সেটা সব সময় মিথ্যাও হয়নি।
তাই...মুন্ডা গেল...অঞ্চলের দিকে মুন্ডা, ওঁরাও সব আর মাঝামাঝি তো সব চলছেই; ইট ভাটার শ্রমিক, সেসব ইনভেস্টিগেট করে লেখাটেখা, কংক্রিট কাজের মধ্যে আমি বেশী বলবো যে ‘ক্রিমিনাল ট্রাইব’ এ শব্দের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষিত হল।
Thursday, August 15, 2013
মহাশ্বেতার সঙ্গে ইলিয়াসের সংলাপ: অরণ্যের অধিকার
[প্রায় এক যুগ আগে ভারতের বিশিষ্ট লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর সঙ্গে প্রয়াত লেখক আখতারুজ্জমান ইলিয়াসের একটি দীর্ঘ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এই অসমাপ্ত সংলাপে উঠে আসে মহাশ্বেতা দেবীর জীবন, কর্ম, সাহিত্য ও সংশ্লিষ্ট নানা ভাবনা। বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সাহিত্য পত্রিকা ‘তৃণমূল’ এর পঞ্চম সংখ্যা, মার্চ ২০০১ সালে সংলাপটি প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি সম্পাদক আনু মুহাম্মদের অনুমতিক্রমে ‘আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের নেয়া মহাশ্বেতা দেবীর সাক্ষাৎকার’ শীর্ষক লেখাটি সংক্ষিপ্ত আকারে ধারাবাহিকভাবে এই প্রথম আন্তর্জালে প্রকাশিত হচ্ছে। -- অনুলেখক]
Saturday, August 10, 2013
শঙ্খ যাইও বন্ধুর বাড়ি, শঙ্খ কইও আমি তারই...
আমরা যখন মায়াদ্বীপে পৌঁছাই, তখন দুপুর। মেঘনার ঘোলা জলের মতোই আকাশও কিছুটা ঘোলাটে। টানা বৃষ্টির পরও আকাশের মুখ গোমড়াভাব যেনো কাটছেই না। নদীর বাতাসও কেমন যেনো থমকে আছে বলে মনে হয়।
দুটি বিশাল ট্রলার প্রায় একশ ‘ঢাকার মানুষ’ নিয়ে কবি শাহেদ কায়েসের দ্বীপটিতে পৌঁছানোর পর আমাদের চোখে পড়ে চারিদিকে সবুজ আর সবুজ। সামনে দিগন্তজোড়া মাঠ, একপাশে গ্রামের আভাষ। দূরে এক চিলতে মেঘনা, কি এক আশ্চর্য উপায়ে রোদ চুরি করে ঝলসে যাচ্ছে।
আগত দলটিকে স্বাগত জানাতে চরের মানুষ প্রস্তুত। মাঠের একপাশে লাল-নীল ডোরাকাটা ছোট্ট শামিয়ানারা নীচে সারি সারি প্লাস্টিকের চেয়ার। ভসভসে শব্দের মাইকে ভেসে আসছে মোবাইল ফোনে বাজানো পল্লীগীতি। আমাদের দলের নারী-পুরুষেরা সাংবাদিক, লেখক, ব্লগার, কবি, শিক্ষক, ব্যংকারসহ নানান পেশার। দলে শিশুও রয়েছে আট-দশজন। তবে দল সদস্য, মায়াদ্বীপে জড়ো হওয়া আমাদের তখন একটাই পরিচয় -- আমরা কবি শাহেদ কায়েসের বন্ধু।
Thursday, August 8, 2013
আদিবাসী নিয়ে ভুলে ভরা পাঠ্য বই
গারোরা বাঙালিদের মতো স্বাভাবিক খাবারই খায়। খাসিরা বাবাকে দেবতা মনে করে পূজা করে। ছেলেরা পরে পকেট ছাড়া জামা ও লুঙ্গি। ম্রোরা সাধারণত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। পুরুষরা সাদা খাটো কাপড় পরে। তাদের অন্যতম সুস্বাদু খাবারের নাম 'নাপ্পি'। ত্রিপুরাদের ঘর সাধারণত চাকমা ও মারমাদের তুলনায় উঁচু। ত্রিপুরা শিশুরা 'খিলা' (গিলা) নামের বিচি দিয়ে খেলতে ভালোবাসে। গারো ও খাসিদের নিজস্ব বর্ণমালা নেই।
Tuesday, August 6, 2013
অভিবাদন বাংলাদেশ
তোমার ভাঁজ খোলো, আনন্দ দেখাও, করি প্রেমের তর্জমা/ যে বাক্য অন্তরে ধরি নাই দাঁড়ি তার, নাই কমা
বৃষ্টিস্নাত কচি ধানের চারাগুলো বাতাসে মায়াবি দোল খাচ্ছে। সবুজে চোখ জুড়িয়ে যায়। অহরাত্র অক্লান্ত পরিশ্রম মুহূর্তেই যেনো উবে যায় একেবারে।
সাত-সাতটি বছর নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সার, মাটি, বীজতলার মান যাচাই, অন্যের ভূঁইচাষের পূর্ব অভিজ্ঞতা তো আছেই। একেই পুঁজি করে এবার নিজের হাতের চাষাবাস। এর মাধুর্যই আলাদা। মমতাটি শিশুর প্রতি পিতার বাৎসল্য সম প্রায়।
Saturday, August 3, 2013
শিরোনামহীন
“আপোষ করতে, করতে মানুষ ক্রমেই ছোট হয়ে যায়”...
আমার সাংবাদিকতার হেডমাস্টার, রাঙামাটির প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে ঠিক এই কথাটিই মোটা লাল হরফে সদর দরজায় লিখে রেখেছেন।
“আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের” কর্মসূচিতে শনিবার দূর দূরান্ত থেকে ভাপসা গরমে তীব্র যানজট ঠেলে পাহাড় ও সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির ভাইবোনেরা ঐতিহ্যবাহি সাজ-পোষাকে ঢাকায় এসেছিলেন শুধু জানান দিতে, “এই দিনটি আমাদের!” কিন্তু তাদের সব হাসি-গান, আনন্দ-উচ্ছাস মুহূর্তেই যেন ম্লান হয়ে যায়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটশনে অনুস্ঠান স্থলে দুপুর নাগাদ খবর এলো, পাহাড়ে রাজনৈতিক অভিবাসিত সেটেলার বাঙালিরা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার অন্তত পাঁচটি পাহাড়ি গ্রামে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে!...
Wednesday, July 24, 2013
শেকড় সংবাদ।। ঘুরে দাঁড়িয়েছে ২২ টি সাঁওতাল গ্রাম।।
রাজশাহীর গোদাগাড়ি এলাকার ভাষাগত সংখ্যালঘু সাঁওতাল
পল্লীগুলোতে কয়েক বছর আগেও নিত্য অভাব লেগেই থাকতো। অভাবের তাড়নায় মহাজনদের কাছ
থেকে চড়া সুদে ঋণ নিত ভূমিহীন সাঁওতাল ক্ষেতমজুররা। কিন্তু এখন 'রক্ষাগোলা' তৈরি
করে তারা স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে দুই বেলা পেট ভরে খেতে
পারছেন। ছেলেমেয়েরাও লেখাপড়া করতে পারছে। সবাই এখন ঋণের ছোবল থেকে মুক্ত।
কিছুদিন আগে এই লেখক সরেজমিনে গ্রামগুলো পরিদর্শনে গেলে এভাবেই
নিজেদের সাফল্যগাথার বর্ণনা দেন দেওপাড়া ইউনিয়নের ডাইংপাড়া গ্রামের প্রধান
(মোড়ল) দেবেন বাস্কে (৪৬)।
Thursday, July 18, 2013
জাত্যাভিমানের মুখোচ্ছবি
কোনো আন্তর্জাতিক উৎসব বা বিদেশী অতিথি দেশে বেড়াতে এলে বাংলাদেশের সরকারগুলো ঘটা করে আদিবাসী [হালে “উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি”] নাচগান পরিবেশন করেন। এর মাধ্যমে সরকার হয়তো বহির্বিশ্বের কাছে এমন ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায় যে, বাংলাদেশ একটি বহুভাষা, বহুজাতি, বহুধর্ম ও বহু সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধশালী দেশ; এদেশে বাংলা ভাষাভাষি বৃহত্তর বাঙালি জাতিগোষ্ঠির বাইরে নিজ নিজ ভাষা ও সংস্কৃতিতে ঐতিহ্যবাহী আরো প্রায় ৭০টি [সরকারি হিসেবে ২৭টি] ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠির বসবাস রয়েছে। বাঙালির পাশাপাশি এসব ভিন জাতির অবাঙালিরা নিজ নিজ নাগরিক অধিকার নিয়ে ভালোই আছেন!
কিন্তু আসলে কি তাই? রূঢ় বাস্তবতা বলছে, স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক জান্তা পূর্ব বাংলা, তথা এখনকার বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে যে নিষ্ঠুর অমানবিক শোষণ-নির্যাতন চালিয়েছিলো, একই কায়দায় একই শোষণ-নির্যাতন এখন স্বাধীন দেশের সরকারগুলোই আদিবাসীদের সঙ্গে করছে।
Tuesday, July 16, 2013
উসুয়ে হাওলাদারের দীর্ঘ সংগ্রাম!
রাখাইন আদিবাসী নেতা উসুয়ে হাওলাদার (৮১)। গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালির কলাপাড়ায়। অগ্রসর চেতনার মানুষটি আজন্ম
সংগ্রাম করে আসছেন সব ধরণের শোষণ-নিপীড়ন-বৈষম্যের বিরুদ্ধে। ১৯৫২ তে লড়েছেন
রাষ্ট্রভাষার জন্য, ১৯৭১ এ দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করার জন্য
সংগঠিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধ ।
এখন এই শেষ বয়সে এসেও তার সংগ্রাম শেষ
হয়ে যায়নি। এবার তিনি লড়ছেন নিজ স্বাধীন দেশে, নিজ
দেশের শাসক-শোষক গোষ্ঠির নিপীড়নের বিরুদ্ধে। ... এ লড়াই নিজ মাতৃভাষা ‘রাখাইন’
রক্ষার। গ্রাম্য জোতদার, আর ভূমি দস্যুদের কবল থেকে আদিবাসীর অস্তিত্ব টিকিয়ে
রাখার।
সম্প্রতি ঢাকার এক অনুষ্ঠানে অমায়িক মানুষটির সঙ্গে
আলাপচারিতা হয়। পরে টেলিফোনেও কথা হয় তার সঙ্গে। জানা যায়, সংগ্রামী মানুষটির
দেশের জন্য আত্নত্যাগ আর একনিষ্ঠার কথা।
Monday, July 15, 2013
সূর্য তুমি নিভে যাও!
ছয় মাস পরের সম্ভাব্য কাল্পনিক দৃশ্য: জামাতের মুকুটহীন সম্রাট গোলাম আজম “ভি” চিহ্ন দেখিয়ে জেল গেট থেকে বের হলেন। মুখে মৃদু হাসি, নূরানী চেহারা, সফেদ দাড়িতে জেল্লা ছড়ায় চারপাশ। ভোর রাত থেকে “তাওহিদী জনতা” ব্যানারে অপেক্ষমান জামাত-শিবিরের কর্মীরা তাকে দেখামাত্র উল্লাসে ফেটে পড়েন। আকাশ বিদীর্ণ করে শ্লোগান ওঠে –”নারায়ে তাকবির! জেলের তালা ভেঙেছি, গোলাম আজমকে এনেছি!”
Friday, June 28, 2013
ই-বুক:: রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে...
রিপোর্টারের ডায়েরি: পাহাড়ের পথে পথে
লেখক: বিপ্লব রহমান
প্রচ্ছদ: আহমেদ অরূপ কামাল
দাম: ৮০ টাকা
প্রকাশক: পাঠসুত্র
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৫০
ই-বুক আকারে প্রথম প্রকাশ: আমারব্লগ ডটকম, ২০১০
বই আকারে প্রথম প্রকাশ: অমর একুশে গ্রন্থমেলা, ২০০৯
___
পাহাড়, অরণ্য, ঝর্ণাধারায় নয়নাভিরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম। আপত: নিরীহ এই পাহাড়ে প্রায় দুই দশকের সশস্ত্র গেরিলা যুদ্ধের পর দেড় দশক আগে স্বাক্ষরিত হয়েছে শান্তিচুক্তি। এর আগে অশান্ত পাহাড়ে হয়েছে একের পর এক গণহত্যা। হত্যাকে উৎসব ভেবে মেশিনগানের বুলেটে পাখির মতো মানুষ মারা হয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে। শুধু জীবনটুকু হাতে নিয়ে ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে একযুগ গ্লানিময় জীবন কাটিয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার পাহাড়ি নারী-পুরুষ। সেনা সন্ত্রাসে হারিয়ে গেছেন পাহাড়ি বোন কল্পনা চাকমা।
Thursday, June 27, 2013
অভিনন্দন আসিফ। কুপমণ্ডুকতা নিপাত যাক।।
সহব্লগার ও অন লাইন অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ মহিউদ্দীন অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এ জন্য তাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। আবারো আসিফ মুক্তচিন্তা ও শুভবুদ্ধির পক্ষে অবিরাম লিখে যাবেন; নিঃশঙ্ক চিত্তে ফিরে আসবেন ব্লগিং জগতে এটিই কাম্য।
তার অনেক লেখাই হয়তো অনেকে পছন্দ না-ও করতে পারেন, কিংবা তার অনেক লেখার সঙ্গে হয়তো দ্বিমত পোষণ করার সুযোগও রয়েছে। কিন্তু লেখার জবাব লেখা দিয়েই হতে হবে, কারাবন্দিত্ব কখনোই লেখনির জবাব হতে পারে না। তাছাড়া কোনও সভ্যদেশের আদালত নির্ধারণ করে দেবে, অমুকে আস্তিক বা তমুকে নাস্তিক, কোনমতেই এটি মেনে নেওয়া যায় না।
তার অনেক লেখাই হয়তো অনেকে পছন্দ না-ও করতে পারেন, কিংবা তার অনেক লেখার সঙ্গে হয়তো দ্বিমত পোষণ করার সুযোগও রয়েছে। কিন্তু লেখার জবাব লেখা দিয়েই হতে হবে, কারাবন্দিত্ব কখনোই লেখনির জবাব হতে পারে না। তাছাড়া কোনও সভ্যদেশের আদালত নির্ধারণ করে দেবে, অমুকে আস্তিক বা তমুকে নাস্তিক, কোনমতেই এটি মেনে নেওয়া যায় না।
Tuesday, June 25, 2013
কোন বা বন্ধনে বান্ধিয়াছো ঘর, কারিগর?
একটি সময় ছিলো, ঢাকাই সিনেমাতে একজন “পাগল” না থাকলে সিনেমাটি ঠিক জমতো না। ছকবাধা ছবিতে দারুণ আঘাত পেয়ে নায়ক বা নায়িকা “পাগল” হয়ে অসংলগ্ন আচরণ করেন। আবার আরেক মানসিক আঘাতে তারা ঠিক সময় মতো নিজে নিজেই সুস্থ হয়ে ওঠেন।
পুরো ছবি জুড়ে নানা দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্য দিয়ে দর্শক মনে যে চাপ সৃষ্টি হয়, এই সুস্থতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দর্শককে চাপমুক্ত করে। একটি হাসিখুশী সুখি পরিবারের মহামিলন [গ্রুপছবি] মাথায় নিয়ে তিনি হয়তো গুনগুন করতে করতে বাসায় ফেরেন।
পুরো ছবি জুড়ে নানা দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্য দিয়ে দর্শক মনে যে চাপ সৃষ্টি হয়, এই সুস্থতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা দর্শককে চাপমুক্ত করে। একটি হাসিখুশী সুখি পরিবারের মহামিলন [গ্রুপছবি] মাথায় নিয়ে তিনি হয়তো গুনগুন করতে করতে বাসায় ফেরেন।
Friday, June 7, 2013
আমাদের সময়ের নায়কেরা- ০৩
লেখাপড়া করে যে…আটের দশকে আমরা যখন স্কুলের উঁচু ক্লাসের ছাত্র, তখন সাদাকালো দৈনিক পত্রিকার একটি সচিত্র সংবাদ আমাদের বৈকালিক আড্ডার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আমরা ইত্তেফাকের সাধুভাষার খবরটি থেকে জানতে পাই, নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়া তো বটেই, এমনকি শিল্প বিষয়ক সব ধরণের ডিগ্রি বাদেই ‘রাশা’ নামের ঝাঁকড়া চুলের প্রায় নিরক্ষর এক যুবক ভাস্কর্য শিল্পে এশিয়ার মধ্যে গোল্ড মেডেল অর্জন করেছে!
Thursday, March 28, 2013
বাংলা ব্লগের ওপর খড়গহস্ত বিটিআরসি
০১. ফেসবুক, ইউটিউব-এর পর এবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-- বিটিআরসি'র খড়গ নেমে এসেছে বাংলা ব্লগের ওপর। শীর্ষ স্থানীয় ব্লগ সাইটগুলোর ওপর সরকারি এ হস্তক্ষেপে ব্লগে ব্লগে ছড়িয়ে পড়েছে ক্ষোভ। এ নিয়ে ব্লগ সাইটগুলোতে লেখা হচ্ছে অসংখ্য প্রতিবাদী নোট। ব্লগাররা সরকারি খবরদারিকে মুক্ত চিন্তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ বলেই মনে করছেন। বিটিআরসি'র পক্ষ থেকে ব্লগারদের ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি কিছু 'আপত্তিকর পোস্ট' সরিয়ে ফেলার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা ব্লগে এ অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
Monday, March 4, 2013
মুখ ও মুখোশ…
দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দয়ায় পাওয়া নয়
ছাত্র অবস্থায় আপনার কবিতা পড়ে আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম। সদ্য যুদ্ধ ফেরৎ কবি, আপনি ১৯৭১ এর বারুদের সৌরভ ছড়িয়ে লিখেছিলেন:
আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো বিপ্লবের সামনে
আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছো ইতিহাসের সামনে
হাতে দিয়েছো স্টেনগান
আঙ্গুল ভর্তি ট্রিগার
এখন আমার আর ফেরার কোনো পথ নেই…
Tuesday, February 26, 2013
জেগে থাকে শাহবাগ, জেগে থাকে বাংলা!
০১.শাহবাগের মোড়– প্রজন্ম চত্বরের আন্দোলনটি একটি বারুদের স্তুপে স্ফুলিংগ সংযোগ সূচনায় গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন । সেখান থেকে গণজাগরণ, গণ বিস্ফোরণটি ঘটে। প্রথমদিকে আন্দোলনটি শুধু কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠে। ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট তরুণদের আহ্বানে খুব শিগগিরই এতে ব্যপক সাড়া মেলে; কারণ সচেতন নাগরিকরা কাদের মোল্লার মতো চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী, শীর্ষ জামাত নেতার শুধু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় মেনে নিতে পারেননি।আমাদের ধমনীতে শহীদের রক্ত/ এই রক্ত কোনোদিন/পরাভব মানে না…
Friday, February 15, 2013
আমাদের সময়ের নায়কেরা-০২
‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাওয়ার তার শ্রেষ্ঠ সময়’…। কবি হেলাল হাফিজের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ র অমর কবিতা। দ্বিতীয় প্রজেন্মের চলমান মুক্তিযুদ্ধে কবিতাটির অক্ষরগুলো যেনো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে, ১৯৯০ এর জে. এরশাদ সরকার বিরোধী ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান থেকে শুরু করে অসংখ্য গণআন্দোলনে, মিছিলে, মিছিলে, গণসমাবেশে, দেওয়াল লিখনে, আন্দোলনের মঞ্চে অসংখ্যবার উদ্ধৃত হয়েছে এই অজয় কবিতা। শাহবাগের মোড় — প্রজন্ম চত্বরকে ঘিরে সারাদেশে চলমান গণজাগরনের মঞ্চগুলোতেও পাঠ হচ্ছে উদ্দীপনী এই কাব্যগাঁথা।
Sunday, February 10, 2013
স্লোগান-কন্যা লাকী:: একাত্তরই আমার প্রেরণা
ছোটখাটো গড়নের শ্যামলবরণ মেয়েটির নাম লাকী। পুরো নাম লাকী আক্তার। অবিরাম নানা সংগ্রামী স্লোগানে মাতিয়ে রাখেন শাহবাগের 'স্বাধীনতা প্রজন্ম চত্বর'। এরই মধ্যে 'স্লোগান-কন্যা' হিসেবে তাঁর নাম রটে গেছে। মাইক্রোফোন হাতে খেপা বাউলের মতো নেচে নেচে স্লোগান দেন লাকী। তাঁর স্লোগানেই টানা পাঁচ দিন ধরে প্রদীপ্ত তারুণ্যের চেতনার মশাল। জোরালো কণ্ঠে জ্বালাময়ী এত সব স্লোগান আসে কোথা থেকে?
লাকী বলেন, '১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আর অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা আমি ঢেলে দিই স্লোগানে। '৭১ থেকেই প্রেরণা পাই। ছাত্র-জনতাই আমার স্লোগানের শক্তি।'