Tuesday, May 18, 2010

গেরিলা নেতা এমএন লারমা



[পৃথিবীতে যুদ্ধ দুইভাগে বিভক্ত; একটি ন্যায় যুদ্ধ, আরেকটি অন্যায় যুদ্ধ। আমরা ন্যায়যুদ্ধের পক্ষে। -- মাওসেতুং।]
০১। সেই সাতের দশকের নকশালী আন্দোলন থেকে শুরু করে এ দেশে যত গেরিলা যুদ্ধ গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, চরম আত্নত্যাগ থাকা সত্বেও জনবিচ্ছিন্নতা, গোষ্ঠি বিপ্লবী মানসিকতাসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে এর সব কয়টি শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতায় পরিনত হয়েছে– একমাত্র মানবেন্দ্র নারায়ন (এমএন) লারমার প্রতিষ্ঠিত সাবেক গেরিলা গ্রুপ শান্তিবাহিনী ছাড়া।

Friday, May 14, 2010

সিরাজ সিকদার: অন্য আলোয় দেখা


[এসএস'কে নিয়ে এ পর্যন্ত কম লেখা হয়নি। বেশীরভাগ লেখাই কোনো দলীয়স্বার্থ পূরণের জন্য। অনেকে ব্যক্তি এসএস'র জীবন নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করে তার বিপ্লবীত্বকে খাটো করেছেন। কেউ তাকে 'ভুল/বেহাত বিপ্লব'এর দোসর বলেই মূল্যায়নটি শেষ করতে চান। এই সব দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে বলে লেখার শিরোনামে 'অন্য আলোয় দেখা' কথাটি যুক্ত করা হয়েছে। এটি মোটেই এসএস'র কর্মকাণ্ডের সামগ্রীক মূল্যায়ন নয়। এটি ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে নির্মোহভাবে এই শহীদ দেশপ্রেমিক বিপ্লবীকে দেখার একটি ছোট্ট প্রয়াস।]
আর কয়েকটা শত্রু খতম হলেই তো গ্রামগুলো আমাদের/ জনগণ যেনো জল, গেরিলারা মাছের মতো সাঁতরায়...: সিরাজ সিকদার।
অস্ত্র কোনো নির্ধারক শক্তিনয়, নির্ধারক শক্তি হচ্ছে মানুষ। সংগঠিত জনগণ অ্যাটম বোমার চেয়েও শক্তিশালী।:মাওসেতুং।

Monday, May 10, 2010

আছিয়া…


মেয়েটি কোনো বলিউড বা ঢাকাই ছবির হিট নায়িকা শাবনুর, শাবনাজ, শাহনূর–এ রকম কোনো চটকদার নাম বলেনি। নারায়নগঞ্জের গোদনাইলের সরকারি ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রের অন্য ভাসমান পতিতাদের ভীড়ে অল্প বয়সী ফর্সা মতোন মেয়েটি একটু দূরে একা দাঁড়িয়ে ছিলো। তার কোলে এক রত্তি একটি দুধের শিশু। সে বোধহয় সেদিন তার সত্যিকারের নামটিই আমাকে বলেছিলো, আমার নাম আছিয়া, আছিয়া বেগম। ...

আমি ও আরেক সহকর্মি মুন্নী সাহার সঙ্গে ভবঘুরে আশ্রয় কেন্দ্রটি ঘুরে ঘুরে সেখানের আশ্রিতাদের সমস্যার কথা শুনছিলাম, নোট নিচ্ছিলাম দ্রুত, মুন্নী আপা অটো ক্যামেরায় সাদা-কালো ছবি তুলছিলেন। সেটা ১৯৯৯ সালের কথা; আমরা দুজনেই তখন ভোরের কাগজের রিপোর্টার।

Wednesday, May 5, 2010

চিকা মারো ভাই, চিকা মারো…


["দেয়ালে দেয়ালে, মনের খেয়ালে/ লিথি কথা/ আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা।"...]
০১.
আমার নকশালাইট বাবা আজিজ মেহেরের কাছে শুনেছি চিকা মারার (দেয়াল লিখন) ইতিকথা। ‘৭০ সালে কমরেড মনি সিং যখন পাকিস্তান সামরিক জান্তার কারাগার বন্দি হন, তখন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকার কালো রাজপথে সাদা চুন দিয়ে লিখেছিলেন:

কমরেড মনি সিং এর মুক্তি চাই!

তবে চিকা মারা নাকি শুরু হয়েছিলো ১৯৬৯ এর গণ অভ্যূত্থানের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সে সময় ছাত্ররা জিগা গাছের ডালের এক মাথা থেঁতো করে বানাতো ব্রাশ। আর আলকাতরা দিয়ে দেয়ালে লেখা হতো স্বাধীনতাকামী নানা শ্লোগান।